Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সিউল, ১০ মার্চ, ২০১৩:

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রসারে মুদ্রা বিনিময় চুক্তিতে স্বাক্ষর করল দক্ষিণ কোরিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। এর মধ্য দিয়ে স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেনের পাশাপাশি মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব হবে। গত বৃহস্পতিবার সিউলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। খবর সিনহুয়ার।skor-indo

chardike-ad

এক তথ্য বিবৃতিতে বিওকে জানায়, ব্যাংক অব কোরিয়ার (বিওকে) গভর্নর কিম চং-সু এবং ব্যাংক ইন্দোনেশিয়ার অ্যাগাস ডি ডব্লিউ মাতোওয়ারদোজো এ মুদ্রা বিনিময় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। গত বছরের অক্টোবরে দুই দেশ এ চুক্তি করতে সম্মত হয়। এর মধ্য দিয়ে আগামী তিন বছরে দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১০ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ওন বা ১১৫ ট্রিলিয়ন রুপিয়ার মতো স্থানীয় মুদ্রা লেনদেন করতে পারবে। তবে কবে থেকে এ চুক্তি কার্যকর হবে, তা নির্ভর করছে উভয় পক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর।

দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরো সুসংহত করতে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরো জোরদান করতে এ চুক্তির নকশা করা হয়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে যেকোনো কষ্টকর পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আঞ্চলিক পর্যায়ে দুই দেশ স্থানীয় মুদ্রায় তাদের ব্যবসাবাণিজ্য সম্পন্ন করতে পারবে।’ উল্লেখ্য, আসিয়ানভুক্ত (অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস) দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার তৃতীয় বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার হলো ইন্দোনেশিয়া।

২০১৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ইন্দোনেশিয়ায় ১১ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করে, যা মোট রফতানির ২ দশমিক ১ শতাংশ। একই সময় ইন্দোনেশিয়া থেকে ১৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস, অপরিশোধিত তেল, জ্বালানির কাজে ব্যবহূত কয়লা। মোট আমদানিতে এগুলোর অংশ ছিল ৬০ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) বন্ড প্রণোদনা কমিয়ে দেয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজার বেশ অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যেও এ মুদ্রা বিনিময় চুক্তি ইন্দোনেশিয়া থেকে পণ্য আমদানি করতে সাহায্য করবে দক্ষিণ কোরিয়াকে।

বাণিজ্য মীমাংসায় ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে কয়েকটি দেশের সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় চুক্তির চেষ্টা করছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ পর্যন্ত ১২৯ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে দেশটি। এর মধ্যে চীনের সঙ্গে ৫৬ বিলিয়ন ডলার, জাপানের সঙ্গে ১০ বিলিয়ন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন, এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে তারা। সূত্রঃ বণিকবার্তা।