উড্ডয়নের পর একটি বিমানের প্রায় সব যাত্রী ঘুমিয়ে পড়েন। সেই সুযোগে পাশের আসনে বসা নারীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন এক তরুণ। নারীর চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙার পর চলন্ত বিমানেই অন্য ১৭ জন নারী মিলে অভিযুক্তকে গণপিটুনি দেন।
ঘটনাটি ঘটেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি বিমানে। ঘটনার শিকার ওই তরুণীও ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। পাশে বাবা-মা থাকা সত্বেও এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে তাকে।
অভিযুক্ত ওই তরুণের নাম শারিখ খান। তিনি পেশায় একজন প্রকৌশলী। শারিখ নামের ওই ব্যাক্তি শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে তরুণী চিৎকার করে ওঠেন। চিৎকার শুনেই ঘুম ভাঙে তার বাবা-মাসহ অন্যান্য যাত্রীদের। তারপর চলন্ত বিমানেই শুরু হয় গণপিটুনি।
স্পাইস জেট নামের এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আনুমানিক ভোর চারটার সময় অস্বস্তি বোধ করলে ঘুম ভাঙে ওই যাত্রীর। তিনি বুঝতে পারেন, তার শরীরের উপর কারো হাত। তখনই তিনি নিজেকে মুক্ত করে হাত সরিয়ে নিতে বলেন।
শরিখ খান নামের অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি হাত সরিয়ে নিলেও তরুণীকে গালাগালি শুরু করেন। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি শুধু গালাগালি নয় তাকে আঘাত করেন বলেও অভিযোগে জানিয়েছেন ঘটনার শিকার তরুণী।
তরুণী চিৎকার করে অন্যান যাত্রীদের ঘুম ভাঙানোর পর সবাইকে পুরো ঘটনা চিৎকার করে শোনাতে থাকেন। তখন পাল্টা গালাগালিজ শুরু করে যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত শারিখ খান নামের ওই প্রকৌশলী।
পরিস্থিতি দেখে বিমানে থাকা অন্য নারীরা প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। অভিযুক্ত প্রকৌশলীকে ঘিরে ধরেন তারা। অন্তত ১৭ জন নারী সহযাত্রী অভিযুক্ত তরুণকে পেটাতে থাকেন। এমনটা দেখে বিমানের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
ঘটনাস্থলে গেলেও অভিযুক্তকে গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষা করতে পারছিলেন না তারা। কিছুতেই উত্তেজিত নারীদের থামাতে পারছিলেন না বিমানকর্মীরা। স্পিকারে ঘোষণা দিয়েও তাদের আলাদা করতে ব্যর্থ হন তারা।
শেষে ভোর সাড়ে পাচটায় বিমানটি দিল্লি বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তাকর্মীরা বিমানের ভেতরে ঢুকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করা হয়।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা