Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

turkey-armyনিয়মিত টহল সেনাদের অবস্থান ও বিশ্রামের জন্য পাহাড়ের চূড়ায় ছোট্ট একটি কাঠামো দাড় করানো হয়েছে। চারপাশে খাড়া ঢাল। দূরে আরো অনেক পাহাড়ের চূড়া। এমন একটি স্থানে কার্পেটের ওপর বসে আছেন দুজন সৈনিক।

দুজনেই পুরো সামরিক সাজে সজ্জিত। গায়ে ইউনিফর্মের সাথে বর্ম, মাথায় হেলমেট। পাশে তাদের রাইফেল দুটো রাখা। সামনে কিছু খাবার নিয়ে মোনাজাতে মগ্ন দুই সৈনিক। সামনের খাবারগুলো আসলে ইফতার। ইফতারের পূর্ব মুহুর্তটি দোয়া কবুলের সময়। তাই ইফতার সামনে নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলেছেন তারা।

chardike-ad

কাছে অন্য এক সৈনিক রাইফেল হাতে নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব তাই, সবাই এক সাথে মোনাজাতে শরিক হতে পারেননি। একজনকে রাইফেল হাতে পাহাড়ায় থাকতে হয়েছে। পাশে পতপত করে উড়ছে জাতীয় পতাকা। সুউচ্চ পাহাড়েরর চূড়ায় কঠিন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করলেও তারা বিচ্যুত হননি ধর্মীয় অনুশাসন থেকে।

ছবিটি তুরস্কের ইরাক সীমান্তবর্তী এলাকার হাক্কারি প্রদেশের একটি পাহাড়ের চূড়া থেকে তোলা। ছবির সৈনিকরা তুর্কি সেনাবাহিনীর সদস্য। গত বছর রমজানের সময় ছবিটি তুলেছেন তুরস্কের আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা আনাদোলুর ফটো সংবাদিক ওজকান বিলজিয়ান।

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে ইরাকের সাথে কয়েক শ’ কিলোমিটার সীমান্ত। যার অনেকটা অংশ পাহাড়ী এলাকা। এসব এলাকায় পাহাড়ের চূড়ায় সর্বদা পাহাড় থাকতে হয় সেনাদের।

কয়েক হাজার ফুট উচ্চতার পাহাড়ের চূড়ায় দায়িত্বরত মুসলমান সৈনিকরা সময় মতোই দায়িত্বের ফাঁকে সেরে নেন ইফতার ও নামাজ। সৈন্যদের ইফতারির ছবিটির শিরোনাম ‘দ্য ফার্স্ট ইফতার অব দ্য মেহমেতসিক’। তুর্কি সেনাবাহিনীর সদস্যদের ভালোবেসে ‘মেহমেতসিক’ হিসেবে সম্মোধন করে দেশটির নাগরিকরা।

সারা বিশ্বের পাঠকদের ভোটে ছবিটি গত বছর আনাদোলু বার্তা সংস্থার ছবি প্রতিযোগীতার সংবাদ বিভাগে সেরা ছবির পুরস্কার জিতেছে।