পাসপোর্ট তৈরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং সত্যায়িত বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া বার্ষিক প্রতিবেদনে দুদকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে বঙ্গভবনে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে কমিশনের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির কাছে এ প্রতিবেদন পেশ করেন।
প্রতিবেদনের ৮.৪ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়, পাসপোর্ট যাচাই কার্যক্রমে পুলিশ কর্তৃক কথিত ঘুষ গ্রহণে সুযোগ থাকে। এ কারণে পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে পুলিশকে একটি সময়সীমা বেঁধে দেয়া যেতে পারে অথবা এ পদ্ধতি বিলুপ্ত করা যেতে পারে।
সুপারিশ নামায় বলা হয়-
১. গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক আবেদনপত্র এবং ছবি সত্যায়ন করার প্রক্রিয়া বিলুপ্ত করা এবং পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রথা সময়াবদ্ধ অথবা বিলুপ্ত করা যেতে পারে।
২. পাসপোর্টের মেয়ার ১০ বছর করা এবং
৩. জাতীয় নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের স্বার্থে ডিজিটাল পাসপোর্ট ব্যবস্থা প্রচলন করা যেতে পারে।
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন দাখিলের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যে বা যারা সরকারি সম্পত্তি যেমন- রেলের জায়গা, সড়ক বিভাগের জায়গা, গণপূর্ত কিংবা খাস জমি, বন বিভাগের জমি, চান্দিনা ভিটা, ইত্যাদি জমি/সম্পদ অবৈধভাবে দখল করে বিলাসবহুল রিসোর্ট বানিয়েছেন কিংবা অন্য কোনোভাবে দখল করে রেখেছেন তাদের কমিশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাই এসব সম্পত্তি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থায় ফিরিয়ে দিন। জনগণের সম্পদ জনগণকে ফিরিয়ে দিতেই হবে, না হলে কঠোর আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে।