Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

সিউল, ২৬ মার্চ ২০১৪:

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সূচনার সেই গৌরব ও অহঙ্কারের দিন আজ। বাংগালী জাতি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে বসবাস করার সুযোগ পেয়েছে এই দিনের সৌজন্যে। এদিকে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’ পরিবেশন কর্মসূচি এবছরের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ভিন্ন মাত্র যোগ করেছে। একই সাথে একসাথে তিন লাখ মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় । এতে সহযোগিতা করছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।

chardike-ad

images (2)মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

দিবসটি সরকারি ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে এবং বিশেষ নিবন্ধ, সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পোস্টার প্রকাশ করা হবে। এছাড়া বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি বেতার ও টিভি চ্যানেলসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ গীনি’স বুক অভ্ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির জন্য জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ে রচনা ও বির্তক প্রতিযোগিতা এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। দেশের সকল শিশু পার্ক, চিড়িয়াখানা, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ইত্যাদি উন্মুক্ত রাখা হবে।

সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে এবং মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্র, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।