লক্ষ্মীপুরে সদ্য ঘোষিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত আনন্দ মিছিলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে রক্তাক্ত জখমসহ অন্তত ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় জুতায় পা দেয়াকে কেন্দ্র করে কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও ফাহাদ বিন কামাল মাহির অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বাবলু চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও মাহি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফের নেতৃত্বে শহরে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় পৌঁছালে জুতায় পা দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগ নেতা কাজী বাবলু ও মাহির অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে কাজী বাবুল, সোহেল, রিয়াদ হোসেন, সাগর ও রিপনসহ ১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। কয়েকজন নেতাকর্মী রক্তাক্ত জখমও হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মিছিলে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ মান্না ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ইবনে জিসাদ আল নাহিয়ান উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও ফাহাদ বিন কামাল মাহি জানান, বড় মিছিল হওয়ায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে ঘটনাটি মীমাংসা করা হয়েছে। এতে সংঘর্ষ কিংবা বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন শরীফ বলেন, মিছিল শেষে সমাপনী বক্তব্য পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে কি-না তা আমি জানি না। লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু মুসা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ