গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় এফবি খাজা আজমীর নামে একটি মাছ ধরা ট্রলারের দুই জেলেকে মারধর করে জাল ও রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে সাগরে নিক্ষেপ করার পাঁচ দিন পর সাগর থেকে মো: রিয়াজ ওরফে নিজামুদ্দিন মোল্লাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর বান্দারহাট গ্রামে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে ভারতীয় পানিসীমার মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আশ্চর্যজনক ভাসতে দেখে সে দেশের জেলেরা উদ্ধার করে রায়দিঘি ফিশারম্যান ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনে দিলে তারা তাকে ভারতের রায়দিঘি থানায় সোপর্দ করেন। তখন থেকে ওই জেলে রায়দিঘি থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এর আগে শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে গভীর সমুদ্রের চালনা বয়া দক্ষিণ-পশ্চিমে এফবি খাজা আজমীর ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে ১০ জেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ট্রলারে থাকা প্রায় ৫ লাখ টাকার ইলিশ মাছ লুটে নিয়ে যায় এবং বরগুনার পাথরঘাটার আ: মন্নান ও বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর বান্দারহাট গ্রামের রিয়াজ ওরফে নিজামুদ্দিন মোল্লাকে মারধর করে ট্রলারের জাল ও রশি দিয়ে বেঁধে সাগরে নিক্ষেপ করে দস্যু বাহিনী।
আশ্চর্যজনক রক্ষা পাওয়া জেলে নিজামুদ্দিন মোল্লার বরাত দিয়ে ভারতের রায়দিঘি ফিশারম্যান ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবীন দাস গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার ভারতীয় পানিসীমা চব্বিশ পরগনার সুন্দরবন কোস্টাল থানার কেদুয়া দ্বীপের উত্তর দিকে চামটা ৪ ন¤¦র ব্লকে ভারতের মা মনিমালা নামের একটি মাছ ধরা ট্রলারের জেলেরা মাছ ধরছিল। এমন সময় দূর থেকে দেখছে পানির স্রোতে কিছু ভাসতে ভাসতে ট্রলারের কাছাকাছি আসছে। তাৎক্ষণিক ওই ট্রলারের মাঝি অনুপের সন্দেহ হলে ট্রলার কাছাকাছি গিয়ে দেখে একজন মানুষ ভাসছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ট্রলারে উঠালে তিনি জীবিত থাকায় তাৎক্ষণিক রায়দিঘি ফিশারম্যান ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনে নিয়ে আসার পর রায়দিঘি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত জেলের বাড়ি বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর বান্দারহাট গ্রামে বলে জানান। জলদস্যূদের হাতে অমানুসিক নির্যাতন এবং আশ্চর্যজনক রক্ষা পাওয়ার লোমহর্ষক ঘটনা বর্ণনা করেন।
এ বিষয় বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে ওই দেশের মৎস্য সমিতির সাথে কথা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধারকৃত জেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছি।