Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঝুঁকিতে ৫০ লাখ প্রবাসী

কার্যকর উদ্যোগের অভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাসগুলোতে এখনও পুরোপুরি আলোর মুখ দেখেনি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)-এর কাজ। ফলে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন এসোসিয়েশন (আইসিএও)-এর সিদ্ধান্তের কারণে ঝুঁকির মুখে রয়েছে হাতে লেখা পাসপোর্টধারী প্রায় ৫০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী। কারণ ২০১৫ সালের নভেম্বর মাস থেকে বিশ্বের সব বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনেই এমআরপি প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ সময় থেকে আন্তর্জাতিক রুটে বিশ্বের কোন এয়ারলাইন্স হাতে লেখা পাসপোর্টধারী যাত্রী বহন করবে না।

সূত্র জানায়, এমআরপি দেয়ার জন্য সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও  মালয়েশিয়ায় আউটসোর্সিং  কোম্পানি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাই আইসিএও’র এই সিদ্ধান্তের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও প্রবাসী বাংলাদেশীদের এমআরপি পাসপোর্টের আওতায় আনতে এখনও কার্যকর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ইরাক, লেবানন, মিশরসহ বেশির ভাগ দেশে থাকা কর্মীরা অল্প শিক্ষায় শিক্ষিত। তাদের যে কোন কাজে সচেতন করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা এব্যাপারে মনে করেন, এখনই পদক্ষেপ না নিলে এসব দেশে থাকা বাংলাদেশী জনশক্তিকে বড় ধরনের মাশুল গুনতে হতে পারে। এ জন্য এখনই সর্বশক্তি নিয়োগ করা প্রয়োজন।

chardike-ad

bangladesh-passportজনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৬ থেকে ২০১৪ সালের মার্চ পর্যন্ত বিশ্বের ১৫৯টি দেশে ৮৮ লাখ ১৩ হাজার ৭০ জন বাংলাদেশী কাজের সন্ধানে বিদেশ গেছেন। এদের মধ্যে ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ এমআরপি পাসপোর্টধারী। অবশিষ্টরা হাতে লেখা পাসপোর্ট বহন করছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা ৬৭ মিশনের মধ্যে ৪১টিতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরির সরঞ্জাম সংযুক্ত আছে। তবে, এর পরিমাণ ও কাজের গতি খুবই অল্প পরিসরের। যা দিয়ে সীমিত এ সময়ে বিপুল সংখ্যক পাসপোর্ট এমআরপি করা সম্ভব হবে না। এ কারণে কর্মীর সংখ্যা বেশি থাকা দেশগুলোতে দ্রুত আউটসোর্সিং  কোম্পানি নিয়োগের মাধ্যমে কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের ১৫৯ দেশে অবস্থান করা প্রায় ৮৮ লাখ বাংলাদেশী বিদেশ থেকে দেশে পাঠাচ্ছেন মোটা অঙ্কের রেমিট্যান্স। এর পরিমাণ ২০১৩ সালে ১৩,৮৩২ দশমিক ১৩ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১ লাখ ৮ কোটি টাকা) এবং এর আগের বছর ২০১২ সালে ১৪,১৬৩ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১ লাখ ১৫ কোটি টাকা)। এ কারণে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনই হাতে লেখা পাসপোর্টের বদলে এমআরপি দিতে জোর কদমে প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। অন্যথায় সবকিছু মাঠে মারা যাবে।