Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উই উইল মিস ইউ ক্যাপ্টেন!

বিদায়টা প্রকৃতির নিয়ম। শুরু থাকলে তার শেষও থাকবে এটাই নিয়তি। তবে কিছু কিছু বিদায় কোনোদিনও মেনে নেওয়ার নয়। মাশরাফির ক্ষেত্রে সেটা সত্য। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি। ওয়ানডে ক্রিকেটে অবশ্য আরো কয়েকদিন খেলবেন তিনি। তবে যেটাই হোক না কেন, ম্যাশের ক্ষেত্রে বিদায় কথাটা শুনতে রাজি নন বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা। কারণটাও যে খুবই প্রাসঙ্গিক। বাংলাদেশের ক্রিকেট সফলতার অন্যতম নায়ক তো তিনিই।

আজকের ম্যাচ দিয়ে রেকর্ড ২৮ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিলেন মাশরাফি। দল সবচেয়ে বেশি ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় এসেছে তাঁর নেতৃত্বেই। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মাশরাফি। তখন থেকে নিয়মিত এই ফরম্যাটে খেলে আসছেন তিনি। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের খেলা ৬৭টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ৫৪টিতেই খেলেছেন তিনি।

chardike-ad

টি-টোয়েন্টির চেয়ে ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির পরিসংখ্যান আরো সমৃদ্ধ। ৪০ ম্যাচে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ২৪টিতেই জিতেছে তাঁর দল। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর বদলে দেন দলের চেহারাটাই। ঘরের মাঠে ভারত-পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তানের মতো দলগুলোকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। তাঁর নেতৃত্বেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে লাল-সবুজের দল। কেবল তাই নয়, পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার মতো জায়ান্টদের হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও মাশরাফির নেতৃত্বে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে টাইগাররা। এরপর তাঁর নেতৃত্বেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ ড্র করে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে তাঁর মতো সফল অধিনায়ক নেই আর কেউ। পুরো দলকে একসুতায় গাঁথতে সক্ষম হন তিনি। ইনজুরিকে সঙ্গী করেই গত কয়েক বছর ধরে খেলে চলছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলকে লড়াই করার প্রেরণা তিনিই জুগিয়েছেন। তাঁর দেখানো পথেই চলবে বাংলাদেশের ক্রিকেট। এমনটিই আশা করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। মাশরাফিকে মিস করবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।