মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিমান হামলায় বিদ্রোহীদের দখলে থাকা রুবিখনিকেন্দ্রিক একটি শহরে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) এক স্থানীয় বাসিন্দা ও সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীর এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে। শুরুতে বিচ্ছিন্ন প্রতিরোধ হলেও, ২০২৩ সালের শেষ দিকে জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্মিলিত হয়ে গণতন্ত্রপন্থী গেরিলারা দেশব্যাপী আক্রমণ শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে তারা মূল্যবান রত্নপাথরের শহর মোগক-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিজেদের দখলে নেয়।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে হামলাটি চালানো হয় বলে জানান এক বাসিন্দা। তার ভাষ্যে, তাৎক্ষণিকভাবে সাতজন নিহত হন, পরে আহত আরও ছয়জন হাসপাতালে মারা যান। নিহতদের মধ্যে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু ও মোটরসাইকেলে থাকা বাবা ও ছেলে ছিলেন। একই সময় একটি গাড়িও হামলার শিকার হয়—যার চালকসহ সাতজন আহত হন।
তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) মুখপাত্র লোয়ে ইয়াই উও জানান, এ হামলায় ১৩ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। তার মতে, জনবহুল এলাকায় এ হামলা হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।
সম্প্রতি সেনাবাহিনী প্রতিরোধে পিছিয়ে পড়লে বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগ কার্যকর করে। মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি এলাকা, যেমন সোনার খনির শহর থাবেইক্যিন, পুনর্দখল করেছে তারা।
অন্যদিকে, জান্তা সরকার গত বৃহস্পতিবার ২০২১ সালের জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেয়। তারা এটিকে সংঘাত নিরসনের পদক্ষেপ হিসেবে দেখালেও বিরোধীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ এই নির্বাচনের সমালোচনা করে একে “প্রতারণামূলক” ও জান্তার শাসনকে বৈধতা দেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।



































