
রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পর্যটননগরী সোচিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। হামলায় একটি তেলের ডিপোতে আগুন লেগে যায়। আজ রোববার শহরটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
রুশ বার্তামাধ্যমে জানানো হয়, হামলায় সোচির একটি তেলের ট্যাংকে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ আঘাত হানে। এতে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাতভর ফায়ার সার্ভিসের ১২৭ জন কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। সোচির আকাশে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুন ও ঘন কালো ধোঁয়ার ছবি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও, বার্তা সংস্থা এএফপি সেই ছবিগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
ক্রাসনোদার অঞ্চলের গভর্নর ভেনিয়ামিন কোন্দ্রাতিয়েভ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “কিয়েভের শাসকদের চালানো ড্রোন হামলায় সোচি আক্রান্ত হয়েছে। হামলায় তেল সংরক্ষণ ট্যাংকে আগুন লাগে। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।”
রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রাসাভিয়াৎসিয়া জানিয়েছে, ড্রোন হামলার কারণে কিছু সময়ের জন্য সোচি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও ফ্লাইট চালু করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়েছিল সোচিতে। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে শহরটি প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মাইল) দূরে। ফলে অন্যান্য রুশ শহরের তুলনায় এখানে ইউক্রেনের ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল।
তবে সম্প্রতি এমন হামলা বাড়ছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত মাসের শেষদিকে ইউক্রেনের আরেকটি ড্রোন হামলায় সোচিতে দুইজন নিহত হয়েছিলেন।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ এখনো শনিবার রাতের হামলা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে কিয়েভ ইঙ্গিত দিয়েছে, রাশিয়ার অব্যাহত হামলায় নিহত বেসামরিক নাগরিকদের ‘মূল্য চুকাতে হবে’। এরই অংশ হিসেবে রাশিয়ার ভেতরে ড্রোন হামলা আরও জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে কিয়েভ ধারাবাহিকভাবে রুশ জ্বালানি অবকাঠামোকে টার্গেট করে আসছে।



































