
ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ
ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর জলবায়ু আন্দোলনের নেত্রী গ্রেটা থুনবার্গের সঙ্গে ভয়ঙ্কর আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন গাজামুখী ত্রাণবাহী ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’র সহযাত্রী আন্তর্জাতিক কর্মীরা। তারা জানান, আটকের পর গ্রেটাকে টেনে হিঁচড়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়, এমনকি তাকে ইসরায়েলি পতাকায় চুমু খেতে বাধ্য করা হয়।
শনিবার (৫ অক্টোবর) এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আল জাজিরা।
তুরস্কে ফিরে আসা ফ্লোটিলা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন দেশের নাগরিক। তাদের মধ্যে তুর্কি সাংবাদিক এরসিন সেলিক বলেন, “আমি নিজ চোখে দেখেছি, কীভাবে গ্রেটাকে অপমান করা হয়েছে। তাকে টেনে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় এবং জোর করে ইসরায়েলি পতাকায় চুমু খাওয়ানো হয়।”
একইভাবে, মালয়েশিয়ার নাগরিক হাজওয়ানি হেলমি ও মার্কিন নাগরিক উইন্ডফিল্ড বিভারও জানান, গ্রেটাকে জোরপূর্বক ইসরায়েলি পতাকা দিয়ে প্যারেড করানো হয়। হাজওয়ানি বলেন,
“আমাদের খাবার, ওষুধ ও পরিষ্কার পানি কিছুই দেওয়া হয়নি।”
বিভার জানান, “গ্রেটার সঙ্গে ভয়াবহ আচরণ করা হয়েছে, যেন তাকে কোনো প্রতীকে পরিণত করা হয়। এমনকি এক ডানপন্থী ইসরায়েলি মন্ত্রী ঘরে ঢুকলে, তাকে জোর করে সেই ঘরে ঠেলে দেওয়া হয়।”
ইতালীয় সাংবাদিক লরেঞ্জো আগোস্তিনো বলেন, “মাত্র ২২ বছরের এক সাহসী নারী গ্রেটা থুনবার্গকে ট্রফির মতো প্রদর্শন করা হয়েছে; তার গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ইসরায়েলি পতাকা।”
তুর্কি উপস্থাপক ইকবাল গুরপিনার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আমাদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হয়েছে। তিন দিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে। পানি না পেয়ে আমরা টয়লেটের পানি পান করেছি। রোদে পুড়ছিলাম। তবুও এই অভিজ্ঞতা আমাকে গাজার মানুষের কষ্ট বুঝতে সাহায্য করেছে।”
এর আগে, গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া ৪০টি নৌকা ও ৪৫০ জনেরও বেশি আন্তর্জাতিক কর্মীকে আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা শুরু হয়।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আটককৃতদের ধাপে ধাপে ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে ১৩৭ জনকে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৬ জন তুর্কি নাগরিক।







































