
ইউক্রেনে রাশিয়ার নতুন বিমান হামলার পর নিজেদের আকাশসীমা সুরক্ষায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে পোল্যান্ড ও ন্যাটো মিত্রবাহিনী।
রবিবার (৫ অক্টোবর) এক্সে দেওয়া পোস্টে পোল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আমাদের আকাশসীমায় পোলিশ ও মিত্রবাহিনীর বিমান সক্রিয় রয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
রবিবারের এই সর্বশেষ মোতায়েন এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন রুশ ড্রোন ও বিমান অনুপ্রবেশের ঘটনায় ন্যাটোভূক্ত দেশগুলো নিজেদের আকাশ টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে।
পোল্যান্ডের অপারেশনাল কমান্ড রবিবার সকালে এক্সে জানায়, ‘আমাদের আকাশসীমায় স্থলভিত্তিক বিমান প্রতিরক্ষা ও রাডার নজরদারি ব্যবস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।’
পোস্টে আরও বলা হয়, ‘এই পদক্ষেপগুলো প্রতিরোধমূলক প্রকৃতির। এর উদ্দেশ্য হলো আকাশসীমা সুরক্ষিত রাখা এবং বিশেষ করে হুমকিপূর্ণ অঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
পোলিশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন বাহিনী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
পোল্যান্ডের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রায় ৫৩০ কিলোমিটার (৩২৯ মাইল) দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
গ্রিনিচ মান সময় রাত ২ টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ইউক্রেনের পুরো অঞ্চলজুড়ে বিমান হামলার সতর্কতা জারি ছিল। কারণ ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কা জানিয়েছিল।
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের প্রধান ইভান ফেদোরভ টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেন, রাশিয়ার যৌথ হামলায় এক নারী নিহত হয়েছেন এবং আরও ছয়জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীও রয়েছে।
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে রাশিয়া ইউক্রেনজুড়ে বড় আকারের আক্রমণ চালানোর পর পোল্যান্ড রাজধানী ওয়ারশর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আকাশসীমার একটি অংশ অস্থায়ীভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল।
এর আগের মাসেও পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করার পর পোল্যান্ড ও ন্যাটো বাহিনী রুশ ড্রোন ভূপাতিত করে। ২০২২ সালে ক্রেমলিনের পূর্ণমাত্রায় ইউক্রেন আক্রমণ শুরুর পর এটি ছিল মস্কোর সঙ্গে তাদের প্রথম সরাসরি সামরিক মুখোমুখি হওয়া।
জার্মানি, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও লিথুয়ানিয়ায় সম্প্রতি অজ্ঞাত ড্রোনের কারণে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছিল। রোমানিয়া ও এস্তোনিয়া এসব ঘটনার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে। যদিও মস্কো এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।







































