১৪ই ফেব্রুয়ারি দিনটি এখন প্রায় পৃথিবীর সব দেশেই ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। বছরের একটি দিন ঘটা করে ভালোবাসা জানান দেয়ার মধ্যে কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে সে প্রশ্ন হয়তো আপনার মনেও মাঝেমধ্যে উঁকি দেয়। এমন ভাবনা থেকেই কোরিয়ানরা গোটা বছরের একটি দিনের পরিবর্তে প্রতি মাসেই একটি করে দিবস ভালোবাসা বিনিময়ের উপলক্ষ হিসেবে পালন করে আসছে। আর হ্যা, সেটা প্রতি মাসের ১৪ তারিখেই!
এমন চল থেকেই হয়তো ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্বের আর দশটা দেশের মতো করে কোরিয়ায় ভালোবাসা দিবস উদযাপন হয় না। ‘রেড ডে’ নামে পরিচিত এ দিনে কেবল মেয়েরাই তাঁদের প্রিয় পুরুষটিকে ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ উপহার দিয়ে থাকে। উপহারটিও আবার সুনির্দিষ্ট, চকলেট ক্যান্ডি। একটা সময় ছিল যখন কোরিয়ান মেয়েরা ঘরে বানানো চকলেট প্রিয় মানুষকে উপহার দিতো। এ যুগের মেয়েদের এতো সময় কোথায়? এহেন প্রত্যাশাও তাই খুব বেশী পুরুষ আজকাল করেন না। তাঁরা বরং দোকান থেকে কেনা চকলেটের সাথে প্রেমিকার তরফে একটা চুমু পেলেই খুশী!
এর ঠিক এক মাস পর ছেলেরা উপহার দেয় তাদের প্রেয়সীকে। ১৪ই মার্চের দিনটি কোরিয়ায় পরিচিত ‘হোয়াইট ডে’ হিসেবে। এ দিনের উপহারেও সুনির্দিষ্ট বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রেমিকগণ প্রেমিকাদের দিয়ে থাকে চকলেট ছাড়া অন্য যে কোন স্বাদের ক্যান্ডি।
আপনি যদি বয়সে তরুণ হন এবং উপরোক্ত দুই দিবসের কোনটিতেই কিছু বিনিময়ের সৌভাগ্য এখনও অর্জন না করে থাকেন তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই! আপনার মতো হতভাগ্যদের জন্যেও আছে একটি দিবস, ১৪ই এপ্রিল। নামকরণ কি হতে পারে বুঝতেই পারছেন, কালো দিবস! এই দিনটিতে কোরিয়ান ‘সিঙ্গেল’ তরুণ-তরুণীরা দেশব্যাপী চীনা রেস্তোরাগুলোতে জড়ো হয়ে জাজাংমিউন নামের কালো শিম বা মটরশুঁটি দিয়ে তৈরি বিশেষ একধরণের নুডলস খেয়ে থাকেন।
এমনি করে প্রতি মাসের ১৪ই তারিখই কোরিয়ায় কোন না কোন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। একনজরে সবগুলো মাসের ১৪ তারিখের নাম দেখে নেয়া যাকঃ
১৪ই জানুয়ারিঃ মোমবাতি দিবস
১৪ই ফেব্রুয়ারিঃ লাল দিবস
১৪ই মার্চঃ সাদা দিবস
১৪ই এপ্রিলঃ কালো দিবস
১৪ই মেঃ গোলাপ দিবস
১৪ই জুনঃ চুমু দিবস
১৪ই জুলাইঃ রুপালি দিবস
১৪ই আগস্টঃ সবুজ দিবস
১৪ই সেপ্টেম্বরঃ সংগীত দিবস
১৪ই অক্টোবরঃ ওয়াইন দিবস
১৪ই নভেম্বরঃ মুভি দিবস
১৪ই ডিসেম্বরঃ আলিঙ্গন দিবস