Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ১০ সাহাবীর নাম

jannati-sahabiইসলামের প্রচার-প্রসার ও ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠায় নবী রাসুলগণের পর যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি এবং যাদের পথ সবচেয়ে অনুসরণীয় তারা হলেন আল্লাহর রাসূল (সা)-এর সাহাবিগণ।

আল্লাহ তা’আলা ঐ সমস্ত সাহাবীগণকে রাসুল (সা)-এর পরামর্শদাতা ও উপদেষ্টা নিধারণ করে তাদের সম্মান আরো বর্ধিত করেছেন। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কোরআনের আয়াত নাযিলের মাধ্যমে সাহাবাগণের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করেছেন : আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল এবং তার সাথে যারা আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর; পরস্পরের প্রতি সদয়, তুমি তাদেরকে রুকূকারি, সিজদাকারি অবস্থায় দেখতে পাবে। তারা আল্লাহর করুণা ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করছে। তাদের আলামত হচ্ছে, তাদের চেহারায় সিজদার চি‎হ্ন থাকে। এটাই তাওরাতে তাদের দৃষ্টান্ত।

chardike-ad

পবিত্র কোরআনের অন্যত্র আল্লাহ তাআলা তাদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণে নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করে বলেন : ‘মুহাজির ও আনছারগণের মধ্যে অগ্রবর্তী সাহাবীগণ এবং কল্যাণকর্মের মাধ্যমে তাদের অনুসারীগণের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন। আর তারাও তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন।’ (আত-তাওবাহ ১০০)

সাহাবিদের প্রশংসায় রাসুল (সা) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে তারাই সব চাইতে নেক লোক যাদের মাঝে আমি প্রেরিত হয়েছি।’ অন্য বর্ণনায়, রাসুল (সা) বলেছেন: ‘সবচাইতে সেরা মানব আমার সাহাবাগণ।’

আবদুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, ‘তোমরা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবিদের গালাগাল করো না। কেননা তাদের এক মুহূর্তের (ইবাদতের) মর্যাদা তোমাদের প্রত্যেকের জীবনের আমলের চেয়ে বেশি।’ (ইবন মাজা : ১৬২;

সামগ্রিক বিচারে সাহাবাগণ সকলে অন্য সকল উম্মত অপেক্ষা উত্তম। তবে সাহাবারা নিজেরা কিন্তু সকলে একই স্তরের নন। বরং কেউ কেউ মর্যাদায় অন্যদের চেয়ে উত্তম। তাদের নিজেদের মধ্যে মর্যাদার দিক তেকে বিভিন্ন শ্রেণি-বিন্যাস ও স্তর রয়েছে।

তবে সাহাবাগণের মধ্যে এমন দশ সাহাবা রয়েছেন, যারা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশ সাহাবি বলে পরিচিত। আরবি আশারা শব্দের অর্থ দশ। আর মুবাশশারা শব্দের অর্থ সুসংবাদপ্রাপ্ত। অর্থাৎ যারা দুনিয়ায় বেহেশেতের সুসংবাদ পেয়েছে তাদের আশারায়ে মুবাশশারা বা বেহেশেতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশ সাহাবি বলা হয়।

তাদের সম্পূর্ণ তালিকা হলো:

– হযরত আবূ বাকর সিদ্দীক (রা)
– হযরত উমার বিন খাত্তাব (রা)
– হযরত উসমান বিন আফফান (রা)
– হযরত আলী বিন আবি তালিব (রা)
– হযরত আবূ উবাইদাহ বিন জাররাহ (রা)

– হযরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা)
– হযরত আবদুর রহমান বিন আওফ (রা)
– হযরত যুবাইর বিন আওম (রা)
– হযরত তালহা বিন উবায়দুল্লাহ (রা)
– হযরত সাঈদ বিন যায়দ (রা)।

এই দশজন সাহাবি সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তাদের মর্যাদা সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আবু বকর জান্নাতি, উমর জান্নাতি, উসমান জান্নাতি, আলী জান্নাতি,তালহা জান্নাতি, যুবাইর জান্নাতি, আবদুর রহমান জান্নাতি, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস জান্নাতি, সাঈদ ইবনে যায়েদ জান্নাতি এবং আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রা.)। -তিরমিজি