যখন থেকে উত্তর কোরিয়া ঘোষণা দিয়েছে তারা হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ভয় দেখাতেই তাদের এই কার্যক্রম, তারপর থেকেই শুরু হয়ে গেছে উদ্বেগ এবং পাল্টাপাল্টি ক্ষমতা প্রদর্শনের লড়াই। দক্ষিণ কোরিয়া তো আগে থেকেই উত্তর কোরিয়ার চোখের বালি। এবার তাদের সাথে যোগ দিয়েছে মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র। একটি মার্কিন বোমারু বি- ৫২ বিমান উত্তর কোরিয়ার প্রতি ক্ষমতার প্রদর্শনী হিসেবে মহড়া দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে। মহড়ার পরে বি- ৫২ বিমানটি অবতরণ করে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী একটি বিমান ঘাঁটিতে।
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে গত সপ্তাহে ভূগর্ভে একটি হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষার কথা প্রকাশ করা হলে সারা বিশ্ব থেকে নিন্দা জানানো হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা এখনো পর্যন্ত এর সত্যতা নিয়ে সন্দিহান। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম ঝং-উন বলেছেন, এটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে কোনো পারমাণবিক হামলার হলে তাদের আত্মরক্ষার একটি প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা। কিম ঝং-উন বলেন, ‘এটা পরীক্ষা ছিল একটি সর্বভৌম রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ ন্যায্য ব্যক্তিগত একটা ব্যাপার। এখানে বাইরের কারো সমালোচনার কিছু নেই।’
এই ঘোষণার পরপরই দুই কোরিয়ার সীমান্তে লাউড স্পিকারে শুরু হয় একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রচারণা। ১৯৫৩ সালের কোরিয়ান গৃহযুদ্ধ থামার পর থেকে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া মধ্যে সম্পর্কটা আসলে একরকম যুদ্ধ ভাবাপন্ন। দক্ষিণ কোরিয়ার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বি-৫২ বোমারু বিমানের মহড়া ছিল আসলে উত্তর কোরিয়ার কার্যক্রমের জবাব।