Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উদ্বেগজনক হারে কমছে জনশক্তি রফতানি

সিউল, ২১ জুলাই ২০১৩:

ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রফতানি উদ্বেগজনক হারে কমে যাচ্ছে। গত বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় এবার একই সময়ে অর্ধেকে নেমে এসেছে এই সংখ্যা। বিশ্ব মন্দার কারণে জনশক্তি রফতানির হার কমছে বলে মনে করেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বমন্দা নয় বরং বন্ধ শ্রমবাজার চালু না হওয়া এবং নতুন বাজার সৃষ্টিতে উদ্যোগ না থাকার পাশাপাশি সরকারের নানা ব্যর্থতা এ জন্য দায়ী। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

chardike-ad

রোববার বেসরকারি টেলিভিশন সময় এর এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
image_36364_0
সময় প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি তথ্য অনুসারে ১৯৭৬ সালের পর থেকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় ৮০ লাখ। এরমধ্যে ২০০৮ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক পৌনে নয় লাখ এবং এর আগের বছরও প্রায় সমান সংখ্যক লোক বিদেশে গিয়েছে। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে পৌনে চার লাখ বাংলাদেশী বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমালেও চলতি বছরের একই সময়ে এ সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। জনশক্তি রফতানি কমে আসার কারণ হিসেবে বিশ্ব মন্দাকেই দায়ী করছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।

বিশ্বমন্দার কারণে জনশক্তি রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বন্ধ শ্রমবাজার চালু না হওয়ার পাশাপাশি সরকারের উদ্যোগের অভাবই এর জন্য দায়ী।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নিবার্হী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা যেসব দেশে যায়, সেসব দেশে অর্থনৈতিক মন্দা ছিল না। তারা সাধারণত যাচ্ছে উত্তর এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে, যেখানে জনশক্তির প্রয়োজন রয়েছে।

বন্ধ শ্রমবাজার চালু করতে রাজনৈতিক উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি, দক্ষ কর্মী পাঠানো না গেলে রেমিট্যান্স প্রবাহও কমে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রামরু’র চেয়ারম্যান ড. তাসনিম সিদ্দিকী।

এছাড়া, শ্রমবাজার নিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দূতাবাসগুলোতে দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল বাড়াতে ক্যাডার সার্ভিস চালুরও তাগিদ দেন এসব বিশেষজ্ঞরা। সুত্রঃ নতুনবার্তা