Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সমালোচনা এড়াতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যাচ্ছেন না সুচি

suchiমিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচি নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা-নির্যাতন-ধর্ষণ নিয়ে যখন বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ ও সমালোচনা চলছে তখন সুচি এ সিদ্ধান্ত নিলেন।

আজ (বুধবার) অং সান সুচির রাজনৈতিক দল এনএলডি’র মুখপাত্র অং শিন বলেছেন, জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ সম্মেলনে যোগ দেবেন না সুচি। তার পরিবর্তে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভ্যান থিও। তিনিই জাতিসংঘের কাছে মিয়ানমার পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করবেন। তার সঙ্গে থাকবেন মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইউ থাউং তুন।

chardike-ad

এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) অং সান সুচি’র পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র কিয়াউ জেইয়া দেশটির সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে স্টেট কাউন্সিলর (সুচি) ব্যস্ত, সেখানে তাকে মনোযোগ দিতে হচ্ছে।’

অং সান সুচির জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশ না নেয়ার কারণ হিসেবে রাখাইন সহিংসতাকে উল্লেখ করা হলেও এটা পরিস্কার যে, মিয়ানমারে যেভাবে জাতিগত নিধন চলছে, জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিলে সেজন্য তাকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের তোপের মুখে পড়তে হবে। এজন্যই অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না সুচি।

অবশ্য এনএলডি’র মুখপাত্র অং শিন বলেছেন, অং সান সুচি সমালোচনা বা সমস্যা মোকাবিলা করতে কখনো ভয় পান না। সম্ভবত তিনি দেশে সমস্যা নিয়ে বেশি চাপে আছেন।

গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারের নেত্রী হিসেবে প্রথম বক্তব্য রেখেছিলেন সুচি। তিনি তখন মুসলিম সংখ্যালঘুদের নিয়ে যে সঙ্কট চলছে তা সমাধানে তার সরকারের প্রচেষ্টার পক্ষে কথা বলেছিলেন। কিন্তু এ সমস্যা তিনি সমাধান করতে তো পারেনই নি, উল্টো তাকে যেকোনো সময়ের চেয়ে বাড়িয়ে দিয়েছেন বহুগুন। এর ফলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন তিন লাখ ৭০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। এসব নিয়ে নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত কিংবা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সুচি। এ জন্যই কি তিনি এবার যোগ দিচ্ছেন না বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

গত ২৪ আগস্ট রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। একের পর এক রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়। নির্বিচারে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। তাদের হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি বয়োবৃদ্ধ নারী এবং শিশুরাও। নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্য অনুযাীয় মিয়ানমার সেনাদের বর্বর নির্যাতনে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা। প্রাণ ও সম্ভ্রম বাঁচাতে গত তিন সপ্তাহে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।