Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মালয়েশিয়া প্রবাসীকে ধরে নিয়ে পুলিশের লুটপাট

police-crimeনরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার হাইরমারা গ্রামের বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. সোহেল মিয়া গত ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার এয়ারপোর্ট থেকে একটি ভাড়া করা গাড়িতে করে তার স্বজন আব্দুল্লাহসহ বাড়ি ফিরছিলেন।

পথে নরসিংদী সদর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাহেপ্রতাব এলাকার একটি সিএনজি পাম্পে গ্যাস নেয়ার জন্য চালক গাড়ি থামান। এ সময় অপর একটি প্রাইভেটকারযোগে আসা রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক সাখাওয়াত ও আজহার আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে যায়। পরে পুরানপাড়া ব্রিজ এলাকায় নিয়ে প্রবাসী সোহেলের কাছে থাকা দুটি স্বর্ণের বার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে নেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের গ্রেফতার করা হবে এমন ভয় দেখিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

chardike-ad

ঘটনাস্থল ওই সিএনজি পাম্পের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, রায়পুরা থানার এসআই সাখাওয়াত হোসেন, এসআই আজহারুল ইসলাম, কনস্টেবল মাইনুল ইসলাম, সাইদুল ইসলামসহ অন্য তিনজন প্রবাসীদের আটক করে নিয়ে যায় ওই পুলিশের টিম।

এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে গোয়েন্দা পুলিশ এসআই সাখাওয়াত হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসআই আজহারুল ইসলাম, কনস্টেবল মাইনুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলামকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারের সময় এসআই সাখাওয়াতের কাছ থেকে ডাকাতির ১৮ হাজার টাকা, এসআই আজহারুল ইসলামের ট্রাঙ্ক থেকে স্বর্ণের বার ও সাদেক মিয়ার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কোরবানি ঈদের আগে এসআই সাখাওয়াতের নেতৃত্বে মেঘনা নদীতে গরু ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে প্রায় ৭০ লাখ টাকা লুট করে নেয়ার অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনায় রায়পুরা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন প্রায় ৯ লাখ টাকা ও ২৫টি গরু জব্দের কথা স্বীকার করেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে এলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্তে নামেন। এর কয়েক মাসের মধ্যেই ডাকাতির ঘটনায় তথ্যপ্রমাণসহ পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

সৌজন্যে: যুগান্তর