Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

১২ টাকার ইনজেকশন ৮০০ টাকা

rajbari-farmesiরোগীদের অসুস্থতাকে জিম্মি করে রাজবাড়ীর এক শ্রেণির অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এরই মধ্যে ১২ টাকার ইনজেকশন ৮০০ টাকা বিক্রি করেছে স্থানীয় ঢালী ফার্মেসি।

এমন অভিযোগ পেয়ে সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে ঢালী ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। পাশাপাশি ওষুধের অতিরিক্ত দাম রাখায় বাজারের শেফা ফার্মেসিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

chardike-ad

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রাজবাড়ীর সহকারী পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে আকরাম শেখ ও জাহিদ মণ্ডল নামের দুই ব্যক্তি তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এর মধ্যে আকরামের বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার বার্থা গ্রামে ও জাহিদের বাড়ি বালিয়াকান্দি উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামে।

rajbari-farmesiতাদের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- সোমবার সকালে আকরাম রাজবাড়ী শহরের মেসার্স ঢালী ফার্মেসিতে ইনজেকশন কিনতে যান। এ সময় ইফিডিন নামের ওই ইনজেকশন শহরের আর কোথায়ও পাওয়া যাচ্ছিল না। ফার্মেসি থেকে ইনজেকশনের দাম রাখা হয় ৮০০ টাকা। এত দাম কেন? জানতে চাইলে দোকানদার বলেন, নিলে নেন, নইলে চলে যান। জরুরি প্রয়োজন এবং আর কোথায়ও না পাওয়ায় তিনি অতিরিক্ত দামে সেটি কিনে নেন। পরে জানতে পারেন ইনজেকশনের দাম মাত্র ১২ টাকা। এরপর দুপুরে চিকিৎসকের পরামর্শে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। একই অভিযোগ করেন শহরের শেফা ফার্মেসির বিরুদ্ধে জাহিদ মণ্ডল।

এ বিষয়ে আকরাম শেখ বলেন, আমার ভাগনের স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারের ঢোকানোর পর জরুরি ভিত্তিতে ওই ইনজেকশনটি আনতে বলা হয়। আমি অনেক দোকান ঘোরার পর ৮০০ টাকা দিয়ে কিনে আনি। এত দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে আমি সবকিছু খুলে বলি। এ সময় চিকিৎসক জানান এই ইনজেকশনের দাম মাত্র ১২ টাকা। তিনি বিষয়টি হাসপাতালের আরএমওকে জানান। এরপর ব্যবস্থা নেন তারা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রাজবাড়ীর সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, বাজারে ওই ইনজেকশনের সংকট ছিল। এই সুযোগ নেন দুই অসাধু ব্যবসায়ী। এতে দুই ভোক্তা প্রতারিত ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঢালী ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা এবং শেফা ফার্মেসিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দোকানের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে জরিমানার তারতম্য হয়েছে। জরিমানার চার ভাগের এক ভাগ টাকা অভিযোগকারী ব্যক্তিদের দেয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ