Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আফগানিস্তানে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে

সিউল, ৪ মে ২০১৪:

আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য এলাকার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে ভূমিধসের পর জীবিত কাউকে উদ্ধারের আশা ত্যাগ করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তারা। গতকাল শনিবার সকালে দেশটির তাজিকিস্তান সীমান্তের বাদাখশান প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।

chardike-ad

_74619730_74619729

ভয়াবহ এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৩৫০ জন নিহত ও দুই হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। পরে নিখোঁজদের উদ্ধারের আশা ত্যাগ করে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় চার হাজারেরও বেশি মানুষ বস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রাণকর্মীরা। দুর্ঘটনাস্থলের উপরে পাহাড়ের অন্য একটি অংশ ভঙ্গুর অবস্থায় আছে এবং সেটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উদ্ধারাভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এতে বাস্তুচ্যুত কয়েক হাজার মানুষ ও উদ্ধারকর্মীদের বিপদ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তারা। বাদশাখান প্রদেশের গভর্নর বলেছেন, ৩০০ পরিবারের দুই হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অঞ্চলটির একটি পাহাড়ের অংশবিশেষ ধসে পড়ে। এতে শত শত ঘরবাড়ি মাটি আর পাথর চাপায় পড়ে।

_74623233_2d90f522-cd7d-4c39-993b-34ed25599306সম্প্রতি আফগানিস্তানের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যায় অন্ততপক্ষে ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিধসে প্রায় এক হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা ৩০০ ঘরবাড়ি তাত্ক্ষণিকভাবে মাটি ও পাথর চাপা পড়ে। ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার দুর্ঘটনাকবলিত এলাকার সবাই বাড়িতেই ছিলেন। এ কারণেই অনেক পরিবারের সব সদস্যই টন টন ওজনের মাটি ও পাথর চাপায় পড়েছে। বাদাখশান প্রদেশের পুলিশ কমান্ডার ফজলুদিন আয়াজ বলেন, হারগু গ্রামের ২১৫টি পরিবারের সবাই মাটি ও পাথর চাপায় পড়েছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মাটি ও পাথরের স্তূপের নিচে চাপা পড়া কাউকে জীবিত উদ্ধার করা খুবই অপ্রত্যাশিত ঘটনা হবে। আর এ প্রত্যন্ত অঞ্চলে উদ্ধার তত্পরতা চালানোর জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিও নেই। মাটি খুঁড়ে মানুষজনকে বের করে আনা খুবই কঠিন কাজ।