মালয়েশিয়ায় চার বাংলাদেশি নারীসহ ১৬২ জন নারীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি, ১৫২ জন থাইল্যান্ড এবং ৬ জন কোরিয়ান ও লাওসের নাগরিক।
বুধবার কুয়ালালামপুরের একটি আদালতের বিচারক হারিদশাম মোহাম্মদ ইয়াসিন তাদের ২৫ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত কারাদণ্ডের আদেশ দেন। আদালত সূত্র জানায়, গত ৩ আগস্ট স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে জালান কিলাং লামার তিনটি নাইট ক্লাবে অভিযান চালিয়ে দেহ ব্যবসার অভিযোগে ১৬২ জনকে আটক করা হয়।
এদিকে পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মানবপাচার চক্রের কবলে পড়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নারীরা মালয়েশিয়ায় এসে দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো স্থানে পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ছে এসব নারী।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশটির বিভিন্ন সেফ হোমে এ পর্যন্ত আটক রয়েছেন প্রায় ৩৫ বাংলাদেশি নারী। আটক নারীদের কাছ থেকে পাচারকারীদের পরিচয় জানতে জিঙ্গাসাবাদ করছে পুলিশ।
এদিকে, বেতন না দিয়ে দীর্ঘদিন জিম্মি করে রেখে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে এমন ১২ বাংলাদেশিসহ ১৮ জন শ্রমিককে উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। দেশটির একটি সবজি ফ্যাক্টরিতে তারা কর্মরত ছিলেন। ওই ঘটনায় ২ জন নারী মালিককে আটক করা হয়েছে এবং পরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে ২ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘ দুই মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি তারা। প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করতে বাধ্য করত মালিকপক্ষ। বেতন চাইলেই বিভিন্ন টালবাহানাসহ বলত, যেদিন দেশে যাবি, সেদিন বেতন পাবি। উদ্ধার হওয়া ১৮ জনের মধ্যে ১২ জন বাংলাদেশি এবং ৬ জন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন।