২০২০ সালের শুরুর দিকে মালয়েশিয়ায় শুরু হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক ওয়ার্ক পারমিট। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘ePLKS@JIM’ (ইলেক্ট্রনিক টেম্পোরারি ওয়ার্ক পারমিট)। আর এ নতুন পদ্ধতি জানুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে বলে জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানশ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন।
২ ডিসেম্বর ইমিগ্রেশন দিবস অনুষ্ঠানে ই-পিএলকেএস জেআইএম উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের বলেন, যেসব নিয়োগকারী ভিজিটর পাস (অস্থায়ী কর্মসংস্থান) এর জন্য আবেদন করছেন তাদের সহায়তা করার জন্যই এই ব্যবস্থা।
তানশ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের মতে, নতুন ব্যবস্থাটি নিয়োগকারীদের আবেদনের প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে যেগুলো আগে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে উপস্থিত থেকে করতে হতো। ‘আবেদনের সময় সাশ্রয় হবে কারণ এই প্রক্রিয়াটিতে কোনো মধ্যস্থতাকারী বা দালালের আর প্রয়োজন হবে না।’
মহিউদ্দিন আরও জানান, যেসব নিয়োগকর্তারা এই টেম্পোরারি ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করছেন তাদের কেবলমাত্র পিএলকেএস আবেদনের নির্ধারিত বিধি মোতাবেক প্রযোজ্য ফি এবং ভিসার জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে।
তবে, নিয়োগকর্তারা ইপিএলকেএস জেআইএম ব্যবহার করতে চান বা ভেন্ডর ব্যবহার করতে চান তা তাদের সেটা বাছাই করার সুযোগ থাকবে।
এই সম্পর্কিত, আমরা টেম্পোরারি কাজের অনুমতিগুলোর জন্য আবেদন প্রক্রিয়াটি যদি সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে তা নিশ্চিত করতে আমরা নিয়োগকারীদেরকে নতুন সিস্টেমটি পুরোপুরিভাবে ব্যবহার করতে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে, আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে ইমিগ্রেশন বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে।
ইপিএলকেএস প্রবর্তনের পূর্ববর্তী প্রচেষ্টা বরিশান ন্যাশনাল (বিএন) প্রশাসনের অধীনে স্থগিত করে একটি প্রাইভেট ফার্মে আউটসোর্স করা হয়েছিল যা পরে স্পোর্টলাইটে এসেছিল।
ইপিএলকেএস সিস্টেমটি তখন বায়োমেট্রিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার সাথে বিদেশি কর্মীদের সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এফডাব্লুসিএমএস) অংশ হিসাবে চালু করা হয়েছিল। আর সেটি ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে কার্যকর হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে যে, এফডাব্লুসিএমএস এবং বায়োমেট্রিক স্বাস্থ্য চেক উভয়ই বিদেশি কর্মসংস্থান সংস্থা অপারেটরদের দ্বারা সমালোচিত হয়েছিল। যার কারণে শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় প্রেরণ বন্ধ করার হুমকিও দিয়েছিল।
অপারেটররা এফডাব্লুসিএমএস-এর আওতায় ৫ রিংগিত থেকে ২৫০রিংগিত পর্যন্ত ফি বৃদ্ধি করার কঠোর অভিযোগ করেছিলেন, যা বেসরকারি সংস্থা বেস্টিনেট এসডিএন ভিডিওর আউটসোর্স ছিল।
এফডাব্লুসিএমএস বেস্টিনেট দ্বারা পরিচালিত একটি ওয়েবসাইট যা বিদেশি কর্মীদের কোটা, তাদের ইলেক্ট্রনিক টেম্পোরারি ওয়ার্ক পারমিট (ইপিএলকেএস) এবং বীমাসহ অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনও পরিচালনা করে।
এদিকে, পৃথক একটি বিষয়ে মন্তব্য করে মহিউদ্দিন বলেছেন, অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগের বিষয়টি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়কে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের (এমএসিসি) প্রধান লাথেফা কোয়া যে পরামর্শ দিয়েছেন তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবেচনা করবে।
মুহিউদ্দিন বলেছেন, নিয়োগ দেওয়ার বিষয়গুলো, নিয়োগ আইন ১৯৫৫ এর অধীনে নিয়ন্ত্রিত হবে, যখন তারা ওভার স্টে করবে এবং অন্যান্য ভিসার নিয়ম কানুন পূরণ না করে, ইমিগ্রেশন বিভাগ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
মালয়েশিয়াকিনি জানান, অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগের প্রক্রিয়াটি মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়কে ফিরিয়ে দেওয়াই হলো অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগের সাথে জড়িত দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সূচনা।
এই ব্যবস্থার অবসানের প্রস্তাব করতে গিযে লাথিফা জানিয়েছিলেন যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বর্তমান নীতিটি অভিবাসী শ্রমিকদের শোষণের সুযোগ দেয়।
তিনি আরও যোগ করেন, প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতারণা ও শোষণের চক্রটিকে দেওয়া যেতে পারে যদি তারা কেবল পূর্বনির্ধারিত খাতগুলোতেই চাকরির জন্য নিয়োগ করে।