Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ভিনদেশে ভিনদেশি অসম প্রেম উপাখ্যান

nur-alamজাপানের ইয়ামানাশী কেন ,দৃষ্টি নন্দন চোখ ধাঁধানো নয়নাভিরাম দৃশ্যের হাতছানি, হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মন্দির,লেক কাওয়াগুচিকো ,আর শীতে সাকুরা সংস্পর্শে হাজারো জাপানিজ, আর বিদেশিদের পদচারণায় মুখরিত হয় এই শহর। আর সবচেয়ে আকর্ষণ হলো জাপানের প্রতীক ফুজি পাহাড় এখানেই অবস্থিত ,শহরের বুক চিরে ভেসে উঠেছে এই ফুজি সান। ফুজি পাহাড়কে ঘিরে গড়ে উঠেছে ইয়ামানাশী শহরটি। শহরের সুদূরে কোনো এক গ্রাম থেকেও ফুজি সান অবলোকের দৃশ্য সত্যি অসাধারণ।

সজল মাস কয়েক পর ঠিক এ শহরেই আসবে ,এখানেই এক কোম্পানি তে জব হয়েছে ,এখন দেশে থেকে অপেক্ষার প্রহর গুনছে সে ,কবে আসবে জাপানে , কবে আসবে ইয়ামানাশী শহরে ,কাজের ফাঁকে ছুটিতে ফুজি সান দেখবে আর কতনা প্ল্যান করে রেখেছে সজল।

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সজলকে একটু বেগ ও পেতে হয়েছে ,জাপানিজ ভাষাটা আয়ত্ত করতে অনেক পরিশ্রম সাধনা সাথে কোম্পানির ইন্টারভিউ এর জন্য রাত জেগে প্রস্তুতি তো ছিলই ,সজল এক বুক স্বপ্ন আর সম্ভবনার স্বপ্নে বিভোর ,আর নিজেকে প্রস্তুতে ব্যস্ত সে প্রতি নিয়ত।

জাপানিজ বই পড়াশুনার পাশাপাশি জাপানিজ বন্ধু বানানো এবং তার সাথে জাপানিজ কথাবার্তা বলা এটাও সজল দারুন ভাবে প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলো। যেই কথা সেই কাজ পড়াশুনার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় জাপানিজ বন্ধু বানানোর মিশন। বন্ধু ঠিকই পেয়েছে জাপানে বসবাসকারী তবে জাপানিজ না ,আগন্তক এক নারী সজলের নেশাকে বাস্তব রূপ দিয়েছে।

অসম্ভব সুন্দরী ভিনদেশি বলিউড হিরোইন মার্কা সেই অনিন্দ্য সুন্দরী,গোপন ভালোলাগার আকুতিতেও খুব দেরি না করে বন্ধু হওয়ার অনুরোধ পাঠায় ,তবে অদ্ভুত সত্য অনুরোধ পাঠানোর কয়েক মিনিট র পরেই অনুরোধ একসেপ্ট করেছে,সজল নিজেও যেন বিশ্বাস করতে পারতেছেনা সেই সাথে হাই ,কেমন আছেন এমন অভিবাদন সজল সত্যি অভিভূত!

যাই হোক চ্যাটিং শুরু ভিনদেশি জাপানে বসবাসরত সেই মেয়ের সাথে ,বই পড়া শেষ হলেই চ্যাটিং আর মাঝে মাঝে কল এ জাপানিজ ভাষায় কথোকপনের এক রোমাঞ্চকর অনুভূতির মাঝে এখন সে। সজলের চেয়ে মেয়েটি বেশি নক করে সজল কে ,সজলও এক দুস্পাপ্য জিনিস পেয়েছে এমন করেই জাপানে আসার আগে মুহূর্তগুলি ফ্রেমে বন্দি ছিলো সজলের। সজলের সেই নতুন আগন্তুকের নাম সাবান থেরপা ,নেপালে তার জন্ম এখন জাপানে চাকরি করে এত টুকুই সজল জেনেছে, সাবানার কাছ থেকে ।বয়স সাবানার ভাষ্য মতে সে ৩৩ ছুঁই ছুঁই ,সেদিক থেকে সাবান সজলের ৮/৭ বছরের বড় ,বয়স ত মানে না ,মেয়ে পেয়েছে একটা জাপানিজ ভাষায় কথা বলে এই তার অনেক।

সাবানা একধারে হিন্দি, ইংলিশ ,জাপানিজ ভাষায় কথা বলতে পারে সজলও হিন্দি মুভি পাগল ছিল একটা সময় সেই সুবাদে হিন্দিও রপ্ত করেছে ,আর এজন্যই হিন্দি আর জাপানিজ ভাষায় কথা বলতে কোনো সমস্যায় হতো না তাদের। সাবানার ইউকোহামা শহরে বসবাস ,প্রথম থেকেই সে এখানেই থাকে। ,জাপানের বাণিজ্যিক রাজধানী ,দেশের সবচেয়ে বড় পোর্ট সেখানেই।

সাবানা আর সজলের সম্পর্ক ইতিমধ্যেই কয়েক মাস হয়ে গেছে ,সময় পেলেই তারা হারিয়ে যেত আগামীর স্বপ্নে ,হাজারো কথন ,গভীর থেকে গভীরতর সম্পর্ক ,কথা না বলে যেন একজন আর একজন থাকতেই পারেনা ,এ এক বাংলাদেশের সেই গ্রামের ছেলেটির সাথে নেপালি মেয়ের হৃদয় নিগড়ানো প্রেম উপাখ্যান। তবে তাদের এ সম্পর্ক এই উচ্চতায় নিয়ে আসতে একটুকুও বেগ পেতে হয়নি সজল কে ,সাবানার অবদানই বেশি। জাপানে আসলে কোথায় কোথায় ঘুরবে ,ফুজি সানই তাদের প্রথম সাক্ষাৎ সাক্ষী হবে তাদের প্রথম দেখা হবে সেখানবেই। সেই স্বপ্নের বিভোর দিন গুনে অতঃপর ভেসে যায় স্বপ্নের ভেলায়। সজল র ইতিমধ্যে জাপানে আসার ডেট ঠিক হয়ে গেছে। জাপানে নারিতা এয়ারপোর্ট এ সে নামবে আগামী সোমবার সকাল ৮ টায়।

শীত প্রায় শেষ জাপানে সাকুরার ফুটন্ত সময় ,সারা জাপান সাকুরার নয়নাভিরাম ভরপুর ,এই সময়ে সজলের জাপানে আগমন ,তবে সাবানার কাজ থাকায় এয়ারপোর্ট এ সাক্ষাৎ আর হয়ে ওঠেনি । এজন্য সাবানা যে কতবার সরি বলছে !

শীত শেষ তবুও শীতের শুভ্রতা ছেয়ে আছে টোকিও তে ,এয়ারপোর্ট এ নামার পর সজল নিজেকে একটু নার্ভাস মনে করতেছে ,নতুন দেশ ,সভ্য দেশ ,নিয়ম কানুনের দেশ ,কোম্পানি বস বা কেমন হবে ,কলিগরাও বা কেমন হবে এসব শঙ্কা তার ভিতর উপচে পড়তেছে ,যাই হোক নিজেকে মানিয়ে নিবে ,পরিশ্রম করবে,আব্বা আম্মার কষ্টের অংশীদারি হবে ,তাদের মুখে হাসি ফুটাবে এমন টাই তার ভাবনা। সাবানাও জাপানের নিয়ম কানুন সব কিছুই বলেছে তাকে ,সজল কে নতুন জায়গায় মানিয়ে নেয়ার জন্য তার নিজের অভিজ্ঞতা গুলি শুনিয়েছে সজলকে। এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি করে স্টেশন সেখান থেকে সোজা ইয়ামানাশি শহরে ,জাপানের ট্রেন এ ভ্রমণ এটাই প্রথম সজলের ,কত মানুষ একটা ট্রেন বগিতে ,কোনো টু শব্দ নেই ,আবার অনেকেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমাচ্ছে ,কেউ বসে বসে বই পড়তেছে। এমন দৃশ্য বাংলাদেশে সে দেখেনি ,বাংলাদেশে দেখেছে ট্রেন এর ভিতর নোংরা কামরা ,নোংরা টয়লেট সাথে বাদাম আর আইসক্রিম মামাদের চিল্লাচিল্লি। বাংলাদেশের সেই চিত্র মনে করেই হাঁসি পায় তার। ট্রেন থেকে নেমে আবার টেক্সি করে সোজা আপন নতুন নিবাস পর্যন্ত। তবে রাস্তায় তার এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা তার যা আগে কোনোদিন সে দেখেনি বাংলাদেশে !

রাস্তায় কোনো ট্রাফিক পুলিশ নাই রাস্তায় সিগন্যাল পড়লে সেই সিগন্যাল সবাই মেনে চলে ,কেউ কোনো গাড়ি ওভারটেক করেনা ,সব চেয়ে বড় কথা কোনো হর্ন/ভেঁপু বাজায় না কেউ ,এ এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখলো সে। মনে মনে চিন্তা করলো আমরা কোথায় আর জাপানিজরা কোথায়। আগেই শুনছিলাম নিয়ম নীতির দেশ জাপান ,আজ অল্প অল্প করে টের পাচ্ছি।

নিজেই বাসায় আসলো সজল ,কোম্পানি বস এর সাথে সাক্ষাৎ। এক নতুন পৃথিবীতে নতুন সৃষ্টির আগমন উপলক্ষ। সবার সাথে পরিচিত পর্বের এক মহেন্দ্র সময় পার করতেছে সজল কাল থেকেই তার কাজ শুরু কোম্পানি তে।

ঐদিকে সাবানা যোগাযোগ করার চেষ্টা করতেছে সজলের সাথে নেটওয়ার্ক নেই , রাতে ওয়াইফাই সেটিং করেই সাবানের সাথে ফোনে অল্প কিছু আড্ডা শেষ করেই দেশে বাবা মায়ের কাছে ফোন ,আজ তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছে সে ,কালকে নতুন অফিস সকালে সময় মতো অফিস এ যেতে হবে এইভাবে।

সজল মানিয়ে নিচ্ছে নিজেকে জাপানের পরিবেশ ,খাবারের সাথে আর তার সব চেয়ে অনুপ্রেরণা সেই সাবানা ,সেই সব বলে দেয় ,সহযাত্রী বলে ত কথা। প্রতিদিন কাজ শেষে সাবানার সাথে আলাপন ,কবে কোথায় ঘুরতে যাবে রুটিন তৈরী এসব আড্ডা ,এরই মধ্যে জাপানে ২ মাস হয়ে গেছে সজলের। অনেক কিছুই চিনে ফেলেছে পথ ঘাট এসব। এবার জিদ ধরে বসেছে দেখা করবেই তারা অবং ইয়াসুমির ৩১ ডিসেম্বর এ ।

কোথায় ভালো হয় সাক্ষাত এর জন্য দুজনেই চিন্তায় মগ্ন ,শেষ এ জায়গা ফিক্সড ,ফুজি সান ভিউ পয়েন্ট হোকুসাই জোনে। ফুজি সান অনেকগুলা ভিউপয়েন্ট এ সবচেয়ে সুন্দরতম স্পট এইটাই। আজ কেন জানি একটু বেশি খুশি সজল, জাপানের একাকিত্বের এ জীবনে ,বহুদিন ধরে স্বপ্নের সেই নারীর সাথে সাক্ষাত হবে ,ভেবেই যেন সে আহ্লাদিত। আজ কেন জানি যেই সূচনার ভাবনায় গিয়েছে সজল ,জাপানি মেয়ের সাথে কথা বলবে জাপানিজ সেই ভাবনায় ফেসবুকে ঠু মারার ফলাফল জাপানিজ কথা ঠিকই হয় কিন্তু সে জাপানিজ নয় হইলো নেপালি রমণী ,আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব ,এখন আবার খুব কাছের কেউ। আনমনেই নিজে নিজে হাসে আর ভাবে শেষ পরিণয় কি হবে আদৌ ?ভাগ্যের উপরি ছেড়ে দেয় সজল। আজ অজান্তেই সাবানাকে নিয়ে গুন্ গুন্ করে গান করে সজল’

ভিনদেশি তুমি ,ভিনদেশি আমি
নয়নে নয়ন মেলে হয়েছি হৃদ যুগল
বহু ক্রোশ দূরে থেকে যদিও চেনা তোমাতে
আজ তবু দূরে নও তুমি আছো
মোর পিঞ্জিরার মাঝে !!

৩১ ডিসেম্বর খুব সকালে সাবান ইকোহামা স্টেশন থেকে রওনা দেয় গন্তব্য ইয়ামানাশি স্টেশন ,সেখান থেকেই মিট করে ফুজি সান এ যাবে। দুজনেই এক্সসাইটেড খুব আজ তাদের প্রথম সাক্ষাত ,প্রায় ৮ মাস এর দীর্ঘ পথে আজ মিলিত সন্ধ্যা ,ভাবতেই তারা পুলকিত হয়।

২ ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে সাবানা এখন ইয়ামানাশি স্টেশন এ ,মাথায় বিয়ানী টুপি ,আর লং স্কার্ট আর নীলাভ টপসে সাবানাকে দেখল সজল দূর থেকে চেয়ে ছিল তাকে।মনের মনি কোঠায় ভাবনার বিলাসে এক পলকেই আদিত্য বলিউড সুন্দরী সোনাক্ষি সিনহা কেউ হার মানাবে তার সাবানা এমনটাই সে ভাবে। দুজনে এখন ফুজি সান ভিউ পয়েন্ট এ ,আজ সজল সাবানের হাত খানি ছুঁয়ে দেখেছিলো ,ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্ত গুলা যেন সিনেমা কেউ হার মানায়। সারা দিন ঘুরাগুরি এক সাথে দুপুরের খাবার ,লেক কাওয়াগুচিতে নৌকা ভ্রমণ। আজ তাদের আনন্দের ইতি নেই।

বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে কাওয়াগুচি লেক পয়েন্ট এ দুজনেই বসে আছে,সময় আর বেশি নেই দিন শেষ হচ্ছে ফিরতে হবে। সাবানা সজলের হাত ধরে বললো তুমি কি সারা জীবন আমাকে তোমার কাছে রাখবা ,আমি
তোমাকে অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছি ,আমি জানি তুমিও আমাকে খুব ভালোবাসো ,তবে একটা সত্য কথা তোমাকে বলি শুনবে ?,শুনে হচকিত সজল কি এমন কথা ,আচ্ছা বলো। তোমাকে কোনো দিন বলা হয়নি আমি বিবাহিত,সবসময় লুকিয়ে রেখেছি ,আর হ্যা স্বামীও আমার সাথেই থাকে ,আমি ডিপেন্ডেন্ট ভিসায় এখানে আছি। তবে আমি ওর সাথে থাকতে চাইনা সংসার করতে চাইনা। আমি তোমার হতে চাই , তুমি কি রাজি হবে বলো ? সজলের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো ,প্রেম করেছে ঠিক আছে তবে এই প্রেমের মাধ্যমে একজনের সংসার ভাঙবে এটা সজল ভাবতে পারতেছেনা ,ভালোবাসা রয়েছে ,তবে সেটা কাওকে আঘাত দিয়ে নয়। তুমি আমাকে কেন বললেনা ,তুমি বিবাহিত ,আমি দূরে চলে যেতাম তোমার থেকে ,কাঁদতে কাঁদতে সজল কথা গুলা বললো সাবানাকে। সাবানা চুপ করে আছে ,কথা বলে না ,কি বলবে সে ?সাবানা আমি তোমাকে ভালোবেসেছি ,কিন্তু আমি ত বিবেকবান ,বিবেক আমায় দর্শন করে ,আমি কারো সংসার ভাঙার পাত্র হতে চাইনা ,আমি তোমার থেকে দূরে চলে যাবো সজল ,আমার বিশ্বাস তুমি ভেঙেছো, একটি বারেও বলোনি আমাকে, বুঝতেও দাওনি তুমি বিবাহিত।,আমি এই অসম প্রেমের ভাগি হতে চাইনা ,আমি দূরে চলে যাবো ,ভালো থাকো তুমি ,বলেই সজল সোজা চললো ,সাবানা পিছু পিছু বললো দাঁড়াও সজল কথা শোনো নি ,সজল আর পিছনে তাকাইনি একবারও ,পিছন থেকে ডাকতে ডাকতে সাবানাও থেমে যায় ,আস্তে আস্তে অদৃশ্য হয় সজল।

এর পর সজল ,সাবানার সব যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করেছে ,কোনদিনও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেনি সজল ,তার কথা ছিল একটাই ,কারো হৃদয় ভাঙার সঙ্গী সে হতে পারবেনা। মাঝে মাঝে কাজের ফাঁকে সেই ভিডিও কলের খুনটুশি গুলা মনে হলে খুব আহত হয় সজল ,আর পরেও এই অসম সম্পর্কে আর জড়াতে চায় না সে।

সাবানার কোনো খোঁজ আর জানেনা সে। হয়তো অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে নয়তো স্বামীকেই আঁকড়ে ধরে আছে ,তবে ভালো থাক সাবানা এই প্রত্যাশা কামনা সজলের। সজলের জাপান জীবনে সাবানার অবদান ভুলতে পারবেনা কখনোই সজল।

প্রবাস জীবনে এমন অসম প্রেম উপাখ্যান মাঝে মাঝে তাড়না দেয় সজলকে। মাঝে মাঝে ভাবে কি হয়তো যদি বিয়ে করতাম তাকে ,আবার ভাবে না বিয়ে না করে ঠিকই কাজ করেছি ,প্রসঙ্গক্রমে সজল যদি হত সাবানার স্বামী ,আর তার স্বামী যদি সজল এর মতো হতো ,তাহলে কি মেনে নিতে পারতো ,সজল এ দৃশ্য ? এ ভেবেই নিজেকে সান্তনা দেয় সজল। আর নিজেকে শোধরানো ,এমন পাতি প্রেমে সময় না দিয়ে নিজের কর্ম ও ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সব প্রয়াস হাতে তার। এ যাত্রায় সজল সফল ,তবে অনেকেই এমন অনৈতিকতা থেকে বাঁচতে পারেনা,পরকীয়া আর ফ্রি সেক্স এর এই দেশে সজলের মতো মানুষ খুব দরকার,নৈতিকতা কখনোই আলাদা হইতে পারেনা এটা জীবনেরই অংশ। শুভ কামনা সজলের জন্য।

হোসাইন নুর -আলম
জাপান প্রবাসী
nuralom.bimt320@gmail.com

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email