Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাস ছড়ালে খবর আছে, হুঁশিয়ারি কিমের

north-korea-kimকরোনাভাইরাস ঠেকাতে দেশের সংশ্লিষ্ট দফতর ও বিভাগকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। যদি প্রাণঘাতী এ ভাইরাস দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ে, তবে ‘কঠোর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার এক বৈঠকে কিম এ হুঁশিয়ারি দেন। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ’র খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে প্রায় তিন হাজার মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্তের সংখ্যা লাখের কাছাকাছি। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

chardike-ad

চীনের উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী দেশ উত্তর কোরিয়ায় এখনো সেভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর মেলেনি। সিক্রেট বেইজিংয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গণশৌচাগার ব্যবহার করায় সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের নির্দেশেই তাকে হত্যা করা হয়।

ভাইরাস যেন উত্তর কোরিয়ায় ঢোকার কোনো সুযোগ না পায় সেজন্য সব পথ বন্ধ করে দিতে মহামারি-প্রতিরোধ সদরদফতরকে নির্দেশনা দিয়ে কিম বলেন, যদি এই ভাইরাস আমাদের দেশে ঢুকে পড়ে, তবে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

কর্মকর্তারা যেন এ ব্যাপারে সর্বোচ্চটি দিয়ে কাজ করেন, সেজন্য কিম এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পিয়ংইয়ং এরইমধ্যে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রচারণায় নেমেছে। তারা এটিকে ‘জাতীয় অস্তিত্ব টেকানো’র বিষয় বলে উল্লেখ করেছে।

কেসিএনএ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের নির্দেশনায় উত্তর কোরিয়া প্রায় সব সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। প্রত্যেকটি প্রবেশপথে স্ক্রিনিং কার্যক্রম জোরদার করেছে। নতুন করে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না কোনো পর্যটক। এছাড়া নাগরিকদের পর্যবেক্ষণে দেশজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে হাজার হাজার স্বাস্থ্যকর্মী। এমনকি সেখানে সফররত অনেক বিদেশিকেই পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে (সংক্রমণরোধে বিশেষভাবে রাখা)।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে সত্যিকারার্থেই বিপদে পড়বে উত্তর কোরিয়া। বহির্বিশ্ব থেকে অনেকটা আলাদা দেশটি মারণাস্ত্রে মনোযোগী হলেও সেখানে নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সরঞ্জাম। এই অপর্যাপ্ততা দেশটিকে ঠেলে দিতে পারে মহাবিপদে।