Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

korea-coronaদক্ষিণ কোরিয়ায় নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯-এ ভুগে এক দফা সেরে ওঠা ৪০০ জনের মধ্যে ২৮৫ জন দ্বিতীয় দফা পরীক্ষাতেও ‘পজিটিভ’ এসেছিলেন। তবে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক এজেন্সি কেসিডিসি জানাচ্ছে, দ্বিতীয় দফা পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) টেস্টে ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’র কারণে তাদের ফল ‘পজিটিভ’ এসেছিল।
বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৮ মে) কেসিডিসি এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। কেসিডিসির ওই বিবৃতিতে জানানো হয়, কয়েকটি পিসিআর মেশিনে ভুলক্রমে ‘মৃত’ ভাইরাল ম্যাটারকে ‘সক্রিয়’ দেখাচ্ছে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ওই ২৮৫ জনের সংস্পর্শে আসা ৭৯০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু তাদের কারও শরীরেই নভেল করোনাভাইরাসের অস্তিত্ত্ব পাওয়া যায়নি।

chardike-ad

এ অবস্থায় কেসিডিসি নাগরিকদের উদ্দেশে জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় যে ২৮৫ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন, সেটা নিছকই মেশিনের ত্রুটি। তাই তাদেরকে কোয়ারেনটাইন ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে না। তারা স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়াসহ সব স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে ত্রুটিপূর্ণ পিসিআর মেশিনগুলো কবে নাগাদ আবার সক্রিয় করা যাবে, সে বিষয়ে মেশিন বিক্রেতা বা স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার এই ফলাফলকে করোনাজয়ীদের ‘প্রতিরোধ ক্ষমতা’ জন্মানোর কোনো ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে কি না, এ প্রশ্নটি আবারও সামনে চলে আসে। মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার বিষয়টি এখনো তারা বুঝে উঠতে পারছে না।

প্রসঙ্গত, চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে মঙ্গলবার (১৯ মে) পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৭৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৬৩ জনের। চিকিৎসা নিয়ে নিয়মিত জীবনে ফিরে গেছেন ৯ হাজার ৯৩৮ জন।