পাকিস্তানকে উড়িয়ে আগেই ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা। আল আমেরাত স্টেডিয়ামের ফাইনালে তাদের সঙ্গী ভারত নাকি আফগানিস্তান হবে সেটার অপেক্ষা ছিল। সেই অপেক্ষা ফুরিয়েছে লঙ্কানদের।
আগামী রোববারের ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে আফগানিস্তানকে পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার তৃতীয়বারের বিপরীতে প্রথমবার ফাইনালে উঠেছে আফগানরা। শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে উঠতে ভারতকে ২০ রানে হারিয়েছে তারা। জিততে হলে শুরুতেই ঝোড়ো ইনিংস খেলতে হতো ভারতকে। আফগানিস্তানের দেওয়া ২০৭ রানের লক্ষ্যটাও তো আর কম নয়।
ভারত অবশ্য ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের শুরুটাও করেছিল। তবে পাল্লা দিতে গিয়ে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে তারা। এতে করে ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। চতুর্থ উইকেটে আয়ুশ বাদানি (৩১) ও নেহাল ওয়াধেরা ৩২ রানের জুটি গড়ে চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন।
তবে ব্যক্তিগত ২০ রানে নেহাল রান আউট হলে চাপে পড়ে ভারত। পরে সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। ফল ২০ রানে ভারতের হার। পরে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটুকু কমিয়েছেন রামনদীপ সিং।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করেছেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার জুবাইদ আকবরি এবং সেদিকউল্লাহ অটল।
বিশেষ করে সেদিকউল্লাহ। টুর্নামেন্টে তার ব্যাটে প্রতিপক্ষের বোলাররা নিস্তার পাচ্ছে না। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বোলারদে চিড়েচ্যাপ্টা করছেন কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া বাঁহাতি ওপেনার। আজকের ম্যাচসহ ৩১৩ রান নিয়ে টুর্নামেন্টর শীর্ষ রানসংগ্রাহক ৪ ম্যাচের প্রতিটিতেই ফিফটি করেছেন। সব মিলিয়ে ধরলে সংক্ষিপ্ত সংকরণের সর্বশেষ ৫ ম্যাচে ফিফটি করেছেন তিনি।
ইনিংসগুলো সাজিয়েছেন চার-ছক্কায়। ভারতের বোলারও যেমন আজ সেদিকউল্লাহর হাত থেকে মুক্তি পায়নি। ৮৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে ওপেনিং সতীর্থ আকবরির সঙ্গে ১৩৭ রানের জুটি গড়েছেন। ৫২ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৭ চার ও ৪ ছক্কায়। কম যাননি আকবরিও। প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৪১ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। হাঁকিয়েছেন ৪ ছক্কার বিপরীতে ৫ চার।
দুজনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুর পেরে টেনেছেন করিম জানাত। জাতীয় দলের হয়ে ৬৬ টি-টোয়েন্টি খেলা আফগান ব্যাটার ২০ বলে খেলেছেন ৪১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। তিনে নেমে ২০৫.০০ স্ট্রাইকরেটের ব্যাটিং ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৪ চার ও ২ ছক্কায়। তিনজনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে আফগানদের সংগ্রহটাও দাঁড়ায় বড়। ৪ উইকেটে তারা করে ২০৬ রান।