Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিশ্বকাপে ‘কুলিং ব্রেক’ এবার বাধ্যতামুলক

অনলাইন প্রতিবেদক, ১ জুলাই ২০১৪:

ব্রাজিলের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উচ্চ আর্দ্রতা সম্পন্ন উষ্ণ এলাকায় সুর্য্যের প্রখর তাপমাত্রায় ফুটবল খেলাটা বেশ কঠিন। সেখানকার কন্ডিশনে অভ্যস্ত মানুষের জন্য পারফর্মেন্স করাটাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই ওইসব এলাকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের কিছুটা স্বস্তি দিতে ‘কুলিং ব্রেক’ (ঠান্ডা বিরতি) দেয়ার ধারনাটি মেনে নিতে ফিফাকে বাধ্য করার জন্য ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।

chardike-ad

coolingbreak2

এর প্রতিফলন দেখা গেছে ২৯ জুন মেক্সিকো বনাম হল্যান্ডের মধ্যকার নকআউট পর্বের ম্যাচ চলার সময়। বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে প্রথমবার টেনিসের মত এরকম কুলিং বিরতি দিতে দেখা গেছে। এর আগে অবশ্য ২২ জুন মানাউসে অনুষ্ঠিত যুক্তরাস্ট্র বনাম পর্তুগালের ম্যাচেও পানি পানের জন্য বিরতি দেয়া হয়েছিল। তবে ফিফা বলেছে যে রোববার ফোর্তালেজায় অনুষ্ঠিত ম্যাচটিই ওই পদ্ধতির প্রথম কোন আনুষ্ঠানিক ম্যাচ।

দুপুর ১টায় ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের প্রতিবাদে ব্রাজিলের ফুটবলার ইউনিয়নের দায়ের করা মামলায় আদালত আরো নির্দেশ দিয়েছে যে স্বাস্থ্যহানিকর তাপমাত্রায় ম্যাচের আয়োজন করা যাবে না। এই নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হলে প্রতি ম্যাচের জন্য তাদেরকে ৯০হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হবে।

আদালতের ওই রায়েই ব্রাজিলে তাপমাত্রা যদি ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উন্নীত হয় তাহলে সেখানে আয়োজিত প্রতিটি ফুটবল ম্যাচে ‘পানি পান বিরতি’ অপরিহার্য্য করার নির্দেশনা দেয়া হয়। আদালত আরো নির্দেশ দিয়েছেন যে ম্যাচ চলাকালে প্রয়োজনীয় সুত্র কিংবা প্রযুক্তির সহায়তায় দিনের তাপমাত্রা নিরুপনের দায়িত্ব বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার।

অফিসিয়াল তথ্য অনুযায়ী রোববার ফোর্তালেজায় ডাচ ও মেক্সিকানরা যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিল তখন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৮ শাতাংশ এবং তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শেষ মিনিটের গোলে দুখ:জনকভাবে পরাজিত মেক্সিকান খেলোয়াড়রা এ সময় বল ছাড়াই দৌড়িয়েছে ৪৪.৩ কিলোমিটার গতিতে।

আধাঘন্টা ও ৭৫তম মিনিটে খেলোয়াড়রা যখন বিরতি নিচ্ছিল তখন তারা বিশ্বকাপের ইতিহাসে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থায় পৌছে যায়।