সিরাজের শাস্তি চান অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটাররা

 

chardike-ad

রিকি পন্টিংয়ের মহাপরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়া দলের শক্তি ও মাঠে তার দলে শৃঙ্খলা নিয়ে সবার জানা।   ১৬ বছর পর যখন আরেকটি বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি চলছে, রিকি পন্টিং আবারও আলোচনায়। আইসিসির কাছে ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজের শাস্তি দাবি করেছেন মাইকেল ক্লার্ক, স্টুয়ার্ট ক্লার্ক ও রিকি পন্টিং। সিরাজকে এখনো জরিমানা না করায় তাঁরা কিছুটা বিস্মিতও।

অনেকে হয়তো ভাবছেন, অ্যাডিলেডে গোলাপি বলের টেস্টে ট্রাভিস হেডকে বোল্ড করার পর সিরাজ তাঁকে ড্রেসিং রুমের দিকে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত করায় চটেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটাররা।

কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। তাঁরা সিরাজের শাস্তি চেয়েছেন এলবিডব্লিউর আবেদন করার সময় আম্পায়ারের দিকে ফিরে না তাকানোর কারণে। সিরিজের অন্যতম সম্প্রচারকারী চ্যানেল ‘৭ নেটওয়ার্ক’ সিরাজের এ ধরনের আচরণের নাম দিয়েছে ‘সেলিব্রাপিলস’। অর্থাৎ উদ্‌যাপন করতে করতে আবেদন।

ইদানীং ব্যাটসম্যানের প্যাডে বল লাগলেই একই সঙ্গে উদ্‌যাপন ও আবেদন করতে করতে দৌড়াতে থাকেন সিরাজ। আম্পায়ারের দিকে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন মনে করেন না। তাঁর ‘ভাবখানা’ দেখে মনে হয়, ব্যাটসম্যান নিশ্চিত আউট হয়েছেন। চলমান বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম দুই টেস্টেই এমন করেছেন ৩০ বছর বয়সী ভারতীয় পেসার।

 

পার্থে ট্রাভিস হেডের বিপক্ষে সিরাজ এভাবে আবেদন জানালে আম্পায়ার সাড়া দেননি। এরপর তাঁরই চাওয়ায় ভারত রিভিউ নিলে দেখা যায়, মাঠের আম্পায়ার সঠিক ছিলেন। অ্যাডিলেডে মারনাস লাবুশেনের বেলাতেও একই কাণ্ড করেন সিরাজ। এবারও আম্পায়ার ব্যাটসম্যানকে নট আউট দেন। তবে এ দফায় ভারত রিভিউ নেয়নি। রিভিউ নিলে তা নষ্ট হতো। কারণ, টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লাবুশেনের ব্যাটের কিনারা ছুঁয়ে প্যাডে লেগেছে।

আম্পায়ারের দিকে না তাকিয়েই সিরাজের এমন আবেদনের বিষয়টি সবার আগে সামনে আনেন ‘৭ নেটওয়ার্ক’-এরই সাংবাদিক ও ধারাভাষ্যকার অ্যালিস্টার নিকোলসন। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় নিকোলসন বলেন, ‘আবেদন করার সময় সিরাজ আম্পায়ারকে ন্যূনতম সম্মানটুকুও দেখাচ্ছে না।’ সেই সময় রিকি পন্টিং বলেন, ‘এটা (সিরাজের আচরণ) আম্পায়ারদের সত্যিই হতাশ করতে পারে। তুমি আম্পায়ারের কাছে আউটের আবেদন জানাচ্ছ, অথচ তাঁর দিকে ফিরে তাকাচ্ছ না।’

সিরাজের এমন অসম্মানজনক আচরণের কারণে তাঁর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মাইকেল ক্লার্ক। স্কাই স্পোর্টসের ‘বিগ স্পোর্টস ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক বলেছেন, ‘আম্পায়ারের দিকে না তাকিয়েই এভাবে এলবিডব্লুর আবেদন করতে থাকায় সিরাজকে জরিমানা করা উচিত। সে ব্যাটসম্যানের প্যাডে বল লাগিয়েই দৌড়াতে থাকে, যেন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেছে। আইসিসি এখনো তাকে জরিমানা না করায় আমি বিস্মিত। আমার মনে আছে, যখন আমি খেলতাম, তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটলে জরিমানা করা হতো।’