জাহাজ থেকে ডাকাতি হওয়া ৩৫০ টন তেল উদ্ধার, গ্রেফতার ৮

 

chardike-ad

 

নারায়ণগঞ্জ থেকে গাজীপুরগামী পাওয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানি তেল বহনকারী জাহাজ থেকে ৩৫০ টন তেল ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নৌ পুলিশ। এ সময় জাহাজ থেকে ডাকাতি হওয়া ৩৫০ টন তেল উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলো- মো. ইসমাইল বেপারি, মো. আমজাদ হোসেন তপু, মো. ফেরদৌস ফরাজী, মো. রিয়াজ হোসেন, মো. সুমন মিয়া, মো. ইউসুফ মিয়া, মো. অনিক মিয়া এবং মো. রানা। গতকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) তাদের সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় এমভি ভূইয়া নামে একটি বাল্ক হেড, তেল আনলোড করার স্যালো মেশিন, দুটি পাইপ, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশান পুলিশ প্লাজায় বাহিনীর সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নৌ পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরপরই নৌ পথকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন ডাকাত গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠে। নৌ পথে ডাকাতি, দস্যুতা রোধে নৌ পুলিশ নিয়মিত টহল ও অভিযান পরিচালনা করাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

ডিআইজি মিজান বলেন, গত ১০ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার মদনগঞ্জ সামিট গ্রুপের ঘাট থেকে ওটি বিন জামান-১ নামের ওয়েল ট্যাঙ্কার আনুমানিক তিন কোটি টাকা মূল্যের ৩৬০ মেট্রিক টন ফার্নেস ওয়েল নিয়ে গাজীপুর কড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টের উদ্দেশে যাত্রা করে। জাহাজটি মুন্সীগঞ্জ সদর থানার চর মুক্তারপুর শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন শীতলক্ষা নদীর মোহনায় পৌঁছালে স্টাফদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় জাহাজটি থেকে প্রায় ৩৫০ টন তেল আরেকটি জাহাজে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানার চর সলিমাবাদ ভূতের মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতি করা তেল উদ্ধার করা হয়। এ সময় তেল ডাকাতিতে ব্যবহৃত জাহাজসহ অস্ত্র ও নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।