শুক্রবার । ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক রাজনীতি ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
শেয়ার

কুয়েটে ভিসিসহ ৩ জন অবরুদ্ধ, সিন্ডিকেট সভা আহ্বান


কুয়েটে ভিসিসহ ৩ জন অবরুদ্ধ, সিন্ডিকেট সভা আহ্বান

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতিকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার পর ভিসিসহ ৩ জনকে কুয়েট মেডিক্যাল সেন্টারে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ব্যর্থতার দায় স্বীকার এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করা হয়।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুয়েট জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা ডিভিশনের পাবলিক রিলেশন অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহাদুজ্জামান শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে গতকাল বিকালে মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসায় ছিলেন ভিসি। সেখানে উপ-উপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকও ছিলেন। এরপরই ছাত্ররা সেখানে তাদের অবরুদ্ধ করেন। বেলা পৌনে ১১টায়ও তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ে বেলা ১১টায় সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে।’

মঙ্গলবার রাতে কুয়েটে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ছাত্ররা ভিসি, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে আলটিমেটাম দেয়। বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কুয়েটের সকল প্রকার ক্লাস, পরীক্ষাসহ সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মঙ্গলবার। পরে রেলিগেট, তেলিগাতিসহ আশপাশের বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেয়। এতে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। মঙ্গলবার দুপুর থেকে ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের বেশিরভাগকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েট মেডিক্যাল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফুলবাড়িসহ আশপাশের এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ সেনা, নৌ, র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশ।

এদিকে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দফতর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা জেলা শাখার দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনও অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার (মাহবুব) সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।

পুলিশ, স্থানীয় লোকজনের তথ্যে জানা গেছে, অস্ত্র হাতে নিয়ে কুয়েট এলাকায় মহড়া দেওয়া একজন হলেন মাহবুবুর রহমান। তিনি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। অন্যদের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।