কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) তাৎক্ষণিক অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছে। এর দুই দিন আগে সংগঠনের বন্দি নেতা আবদুল্লাহ ওকালান যোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানান।
পিকেকের নির্বাহী কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা নেতা ওকালানের আহ্বান মেনে নিচ্ছি এবং এর আলোকে পদক্ষেপ নেব। আমরা আজ থেকে কার্যকর অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করছি।’
তুরস্ক এই ঘোষণা মেনে নিলে কয়েক দশক ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটতে পারে, যেখানে আনুমানিক ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। পিকেকে ও তুরস্কের সংঘাত দেশটির পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্যও বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
ওকালান এক বিবৃতিতে লেখেন, ‘আমি অস্ত্র ত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি এবং এর দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিচ্ছি। সমস্ত গোষ্ঠীকে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে এবং পিকেকেকে বিলুপ্ত করতে হবে।’
১৯৯৯ সালে কেনিয়ায় তুরস্কের কর্তৃপক্ষ ওকালানকে গ্রেফতার করে এবং পরে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তুরস্কে কুর্দিরা দেশের বৃহত্তম সংখ্যালঘু, যারা মোট জনসংখ্যার ১৫-২০ শতাংশ বলে ধারণা করা হয়।