জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সম্রাটকে মারধর করেছে পুরান ঢাকার যুবদল নেতা শহীদুল্লাহ্। এসময় সম্রাটকে ছাড়িয়ে আনতে ঘটনাস্থলে তার সহপাঠীরা গেলে ইতিহাস বিভাগের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাবিবসহ চারজনকে আটকে রাখে বলে অভিযোগ পাওয়া যায় স্থানীয় যুবদলের লোকজনের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৩ মার্চ) রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সম্রাট ধোলাইখাল এলাকার একটি মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভুলক্রমে নির্মাণাধীন এক ঢালাইয়ের ওপরে পা দেন। এতে স্থানীয় একজন লোক তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের কল দিলে হাবিবসহ দুইজন ঘটনাস্থলে আসেন।
আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালে নেওয়া হয়
্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্রএরপর স্থানীয় লোকজন হাবিবসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর করে আটক করে রাখে। আহতরা হলেন সাংবাদিকতা বিভাগের সম্রাট, মামুন ও নাহিদ এবং ইতিহাস বিভাগের হাবিব। পরে ওই শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কয়েকজন যুবদলের লোক ছিল। তারা স্থানীয়দের নিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করে।
জানা যায়, যুবদল নেতার নাম শহীদুল হক। তিনি হামলার নেতৃত্ব দেন। তিনি ৩৮নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও নবাবপুর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে, এ ঘটনা ফেসবুকে ছাড়ানোর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে পুরান ঢাকার নবাবপুর এলাকার একটি ক্লাব ভাঙচুর করে। এসময় রাত ১টার দিকে ওয়ারী থানা পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালাচ্ছে।