বিনোদন জগতে ‘কে ড্রামা’র মতোই ত্বকচর্চায় এখন কোরিয়ান প্রসাধনীর রমরমা। জেন জির কাছে পরিচিত কে–বিউটি নামে। আর বয়স্করা বলেন, কোরিয়ান বিউটি। বেশ কয়েক বছর ধরেই ক্রমশ রূপচর্চায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে কোরিয় ধারা। ভারতেও ক্রমেই বাড়ছে কোরিয়ান স্কিনকেয়ারের চাহিদা।
কোরিয়ার মহিলা হোক কিংবা পুরুষ, সকলেরই চেহারা দেখলে মনে হয়, যেন আলোর ছটা বেরোচ্ছে। কাচের মতো মসৃণ ত্বকে দাগের ছিটেফোঁটাও নেই। অনেকের মতে, কোরিয়ার, নাটক, চলচ্চিত্র আর গানের জনপ্রিয়তার কারণেই এ দেশের রূপচর্চার বিষয়টি সবার নজর কেড়েছে। যদিও কোরিয়ার ত্বকের যত্নের ইতিহাস নতুন নয়। ১৯ শতকের শেষ থেকে কোরিয় মেকআপ এবং প্রসাধনসামগ্রীর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। কোরিয়ান বিউটি ব্র্যান্ডগুলি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উপাদান নিয়ে গবেষণা করে চলেছে। আর এই কারণেই তরুণ প্রজন্ম ও বিউটি ইনফ্লুয়েন্সারদের মধ্যে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিভিন্ন প্রসাধনী পণ্যের সঙ্গে জনপ্রিয়তা পেয়েছে কোরিয়ান মেকআপও।
কোরিয়ানদের কাচের মতো স্বচ্ছ ত্বকের রহস্য কী?
আসলে ত্বকের বিষয়ে কোরিয়দের চিন্তা-ভাবনা একেবারে ভিন্ন হয়। ত্বক নিয়ে সেদেশের মানুষেরা খুবই সচেতন। সঙ্গে প্রাকৃতিক উপাদানকেই তাঁরা বিভিন্ন প্রসাধনীর মূল উপাদান হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। বহু যুগ ধরে কোরিয়ায় রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে ক্যামেলিয়া ফুল, মুগডাল, চাল, চালধোয়া জল, অ্যালোভেরা, যষ্টিমধু, বেদানা, গ্রিন টি, বাঁশের নির্যাস, জিনসেং ইত্যাদি। ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্যও এই ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান দারুণ কাজ করে। সেই কারণেই কোরিয়ান প্রসাধনী ব্যবহার করে অনবদ্য ফল পাওয়া যায়। মূলত উচ্চ মানের উপাদান ও অভিনব প্রোডাক্টের কারণেই কোরিয়ান বিউটি এবং স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড এত বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে চলেছে। কোরিয়ান স্কিনকেয়ার প্রধানত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। ত্বকে হাইড্রেশন এবং পুষ্টি জোগাতে উপযোগী বিভিন্ন ধরনের কোরিয়ান কসমেটিক্স।
দাম কেমন
সাধারণত কম দামি জিনিসপত্রের মান ভাল হয় না, এমন ধারণা প্রচলিত। কিন্তু কোরিয়ান প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। আবার কোরিয়ান প্রোডাক্টের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে, এই ধারণাও ঠিক নয়। সাউথ কোরিয়ান কোম্পানিগুলি সৌন্দর্য এবং প্রসাধনী ইন্ডাস্ট্রিতে একেবারে অন্য ধারা বহন করে চলেছে। কোরিয়ান স্কিনকেয়ার পণ্যগুলি যেমন উচ্চ মানের, তেমনই পশ্চিমের প্রোডাক্টের তুলনায় সাশ্রয়ী।