বুধবার । জুন ১৮, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক জাতীয় ১১ জুন ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ন
শেয়ার

এই বৈঠককে 'মেজর পলিটিক্যাল ইভেন্ট' হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক শুক্রবার


আগামী শুক্রবার লন্ডন সফররত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠককে ‘মেজর পলিটিক্যাল ইভেন্ট’ উল্লেখ করে বৈঠকের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই সাক্ষাতে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন সফরে যাবেন বলে যখন ঘোষণা আসে, তখন থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার বৈঠকের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। লন্ডনে ড. ইউনূস যে হোটেলে (হোটেল ডোরচেস্টার) উঠেছেন সেখানেই স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে এ বৈঠক হবে। ওখানেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইংল্যান্ডের হাউজ অব কমন্সের ডেপুটি লিডার অব দ্য হাউজ দেখা করবেন তারেক রহমানের বৈঠকের পর। এরপর অন্যান্য নেতা যারা আছেন তারা ওখানেই দেখা করবেন, ভেন্যু একটাই।’

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরটি অর্থনৈতিক প্রাপ্তির চেয়ে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে খুবই তাৎপর্য বয়ে আনবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. দিল রওশান জিন্নাত আরা নাজনীন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সফরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক হবে, এটা খুবই ভালো দিক বলে আমি মনে করি। তারেক রহমান এখনো দেশে আসেননি, বহু বছর আসতে পারেননি। প্রধান উপদেষ্টার এ সফরে দেখা হলে তাদের মধ্যে যদি সমঝোতা বা এমন কিছু হয়, তাহলে সেটা খুবই ভালো একটা দিক হবে।’

বর্তমান পরিস্থিতিতে লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠককে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে বিবেচনা করছেন মির্জা ফখরুলও। এ বৈঠকের বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সোমবার রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠকও হয়। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তারেক রহমান সবার সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে অংশ নেয়ার বিষয়ে আলাদা করে সবার মত নেন। কয়েকজন নেতা বৈঠকে অংশ নেয়ার বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করলেও দীর্ঘ আলোচনায় পর সবাই ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আসেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বৈঠকের বিষয়টিকে আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি, এটা বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক সংকট তা কাটাতে পজিটিভ ভূমিকা রাখতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সাম্প্রতিককালের রাজনৈতিক যে প্রেক্ষাপট, যে অবস্থান, এটা (বৈঠক) একটা বড় ইভেন্ট। এটা একটা টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। জাতীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও এটার গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সম্পূর্ণ অথরিটি দিয়েছি।’