কিংবদন্তি মার্কিন সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও কবি জিম মরিসনের ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। জিম মরিসন ছিলেন ষাটের দশকের রক সংগীত ও বিকল্পধারার সংস্কৃতি আন্দোলনের অবিসংবাদিত এক কণ্ঠস্বর। ‘দ্য ডোরস’ ব্যান্ডের রহস্যময় ও প্রতিভাবান এই শিল্পী বিশ্বজুড়ে আজও সমানভাবে স্মরণীয়।
১৯৪৩ সালের ৮ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মেলবোর্নে জন্ম নেন জেমস ডগলাস মরিসন। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৬৫ সালে তিনি গঠন করেন ব্যান্ডদল ‘দ্য ডোরস’। রক, ব্লুজ ও সাইকেডেলিয়া ধাঁচের অসাধারণ মিশ্রণ আর তার কাব্যিক গানের কথা মিলিয়ে ‘দ্য ডোরস’ দ্রুতই তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। “লাইট মাই ফায়ার,” “রাইডারস অন দ্য স্টর্ম,” ও “পিপল আর স্ট্রেঞ্জ” প্রজন্মের কণ্ঠে উঠে আসে বিদ্রোহের সুরে।
জিম মরিসনের মঞ্চে উপস্থিতি ছিল দারুণ নাটকীয়, কণ্ঠস্বর ছিল আবেগময়, আর ভাবনা ছিল অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম। তবে খ্যাতির পাশাপাশি মাদকাসক্তি, আইনগত জটিলতা ও নিজের অন্তর্গত অস্থিরতা তার জীবনের ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠে।
১৯৭১ সালের মার্চ, খ্যাতির শীর্ষে থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে মরিসন পাড়ি জমান প্যারিসে—শান্তি ও সৃজনশীলতা খুঁজতে। কিন্তু সেই বছরই জুলাইয়ের ৩ তারিখ, মাত্র ২৭ বছর বয়সে, প্যারিসের একটি বাসায় বাথটাবে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক কারণ ছিল হৃদরোগ, তবে ময়নাতদন্ত না হওয়ায় সেই মৃত্যু ঘিরে রহস্য আর জল্পনা থেকে গেছে আজও।
আজও অগণিত ভক্ত মরিসনের গান, কবিতা ও আত্মার স্পন্দনে খুঁজে ফেরে স্বাধীনতার, আবেগের ও বিদ্রোহের প্রতিচ্ছবি।
জিম মরিসন নেই, কিন্তু তার কন্ঠ আজও গায়।