রবিবার । ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক আন্তর্জাতিক ২০ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

হামাসের ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, আলোচনায় নতুন গতি


Hamas

হামাসের দেওয়া ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের প্রস্তাব ইসরাইল গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে দেশটির দুজন কর্মকর্তা। তবে ইসরাইলের অবস্থান স্পষ্ট—যুদ্ধ শেষ হবে কেবল তখনই, যখন গাজায় থাকা ৫০ জন জিম্মির (যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত) সবাইকে মুক্তি দেওয়া হবে। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ সদস্য বাসেম নাইম সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, আমরা মধ্যস্থতাকারীদের নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন এই যুদ্ধ আমাদের জনগণের জন্য শেষ হয়।

সিএনএনকে দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামাসের সম্মতির খবর তারা মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে পেয়েছেন। তবে ইসরায়েলের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। তারা সব জিম্মির মুক্তি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজার ওপর ইসরায়েলি নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে চায়। গত জুলাইয়ে আলোচনায় ভেঙে পড়ার পর নতুন করে মধ্যস্থতাকারীদের এ উদ্যোগকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা সম্প্রতি গাজা শহরে সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা নতুন করে উত্তেজনা বাড়িয়েছে।

নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জীবিত ১০ জন ও মৃত ১৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল আজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৪০ ফিলিস্তিনি বন্দি এবং ১৫ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত ৬০ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে। পাশাপাশি সকল নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ফিলিস্তিনি বন্দিকেও ছেড়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। একজন কূটনীতিক জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবের ৯৮ শতাংশ আগের মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের পরিকল্পনার সঙ্গে মিল রেখেই তৈরি করা হয়েছে। তখন ইসরায়েল এতে সম্মত হয়েছিল। মধ্যস্থতাকারীরা হামাসকে চাপ দিয়ে এতে রাজি করিয়েছেন।

এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েলি সেনারা নির্দিষ্ট সীমারেখায় সরে যাবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো হবে। এতে একদিকে জিম্মিদের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হবে, অন্যদিকে গাজার ভয়াবহ মানবিক সংকট আরও গভীর হওয়া ঠেকানো যাবে। তবে এক আঞ্চলিক সূত্র জানিয়েছে, হামাস ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রের লিখিত নিশ্চয়তা চাইছে, যাতে ইসরায়েল পুনরায় যুদ্ধ শুরু না করে।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মিসর ও কাতার মার্কিন দূত উইটকফকে কায়রো আলোচনায় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানাবে। ইতোমধ্যেই কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানি মিসরে পৌঁছেছেন যুদ্ধবিরতি বিষয়ে আলোচনার জন্য।