
ম্যারিনেটের নাবিকরা ৩ অক্টোবর ভোরে গাজার উদ্দেশে যাত্রা করছেন। স্ক্রিনগ্র্যাব: গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা লাইভস্ট্রিম
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রায় সব নৌযান আটকের পরও একটি জাহাজ এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পোল্যান্ডের পতাকাবাহী নৌযানটির নাম ‘দ্য ম্যারিনেট’।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ছয়জন আরোহী নিয়ে ম্যারিনেট এখনো আন্তর্জাতিক জলসীমায় রয়েছে। ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (প্রায় ৪ কিলোমিটার) গতিতে ভেসে চলা জাহাজটি গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে এখনও প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে ক্যাপ্টেন জানান, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সাময়িক সমস্যা হয়েছিল, তবে তা মেরামত করা হয়েছে। খবর আল–জাজিরার।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা জানিয়েছেন, নৌযানটি এখনো স্টারলিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত রয়েছে। যোগাযোগ ও লাইভস্ট্রিম সচল আছে। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, অন্য জাহাজগুলো আটক হলেও ম্যারিনেট এখনো গাজার উদ্দেশে যাত্রা করছে।
লাইভ ট্র্যাকারে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরে ভাসতে থাকা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট
পোস্টে আরও লেখা হয়, “ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়, এটি ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তার প্রতীক। আমরা ফিরে যাচ্ছি না। গাজা একা নয়, ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি।”
এর আগে ফ্লোটিলার অন্যান্য জাহাজে ইসরায়েলি বাহিনী জলকামান ব্যবহার করে আটক করে। অধিকারকর্মী ও মানবাধিকারকেন্দ্রিক সংগঠনগুলো এটিকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও।
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক, যেখানে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান একে “জলদস্যুতা” আখ্যা দিয়েছেন। এ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ-বিক্ষোভও শুরু হয়েছে।







































