
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযানে বড় ধরনের সাফল্য পেয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। জোহর রাজ্যে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন দেশের ৬২ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন- মিয়ানমারের ৩০ জন, ইন্দোনেশিয়ার ৫ জন, বাংলাদেশের ৩ জন, ভারতের ২ জন, নেপালের ১ জন ও শ্রীলঙ্কার ১ জন নাগরিক। এছাড়া মিয়ানমারের ১৪ নারী, ইন্দোনেশিয়ার ৩ নারী, ভিয়েতনামের ২ নারী ও মিয়ানমারের একজন শিশু নাগরিকও আটক হয়েছেন।
গতরাতে জোহর রাজ্যের দুটি ভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় অবৈধভাবে কাজ করছিলেন এমন বিদেশি শ্রমিকদের শনাক্ত করে আটক করা হয়।
জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রুসদি মোহাম্মদ দারুস জানান, স্থানীয় সূত্র ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭টা থেকে অভিযান শুরু হয়। সন্দেহভাজন দুটি রেস্টুরেন্টে হানা দিয়ে বৈধ অনুমতি ছাড়া কর্মরত বিদেশিদের আটক করা হয়।
এই অভিযানে অংশ নেয় ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এবং সুলতান ইস্কান্দার ভবনের বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড সিকিউরিটি এজেন্সির একটি বিশেষ টিম। মোট ১৪৩ জনের পরিচয় যাচাই করে ৬২ জনকে আটক করা হয়। তাদের বয়স তিন থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
রুসদি জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বৈধ ভ্রমণ নথি না থাকা, ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া এবং ভিসা অপব্যবহার করে অবৈধভাবে কাজ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া রেস্টুরেন্ট দুটির স্থানীয় মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইনের অধীনে বিদেশি কর্মী নিয়োগের অভিযোগ আনা হবে।
অভিযানের সময় তিনজন সাক্ষীকে তদন্তে সহায়তার জন্য ফর্ম ২৯ প্রদান করা হয়। আটককৃতদের সেতিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।
রুসদি জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসন, মানবপাচার ও অভিবাসী চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা ও সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে।







































