
ফাইল ছবি
দেশের উত্তর জনপদ কুড়িগ্রামে আগেভাগেই নেমে এসেছে শীতের তীব্রতা। হিমেল হাওয়া, ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসে প্রতিদিনই বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা হাসপাতালে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। সকালে তাপমাত্রা কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ—কাজে বের হতে পারছেন না অনেকে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা বিলকিস বলেন, গতকাল রাত থেকে খুব ঠান্ডা পড়েছে। কম্বলের অভাবে ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি। ছোট ছেলেটা সারারাত সর্দি-কাশিতে ভুগেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন জানান, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় ৯টি উপজেলায় মোট ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে কম্বল কেনা হচ্ছে এবং তালিকা অনুযায়ী দ্রুত তা বিতরণ করা হবে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ জেলায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শীতের এই ধারা আগামীতে আরো কমতে পারে।






































