Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

১৬২ রানে জিতল বাংলাদেশ

bd-zim

সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে খুলনা টেস্টে রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট তুলে নিয়ে সফরকারীদের মাত্র ১৫১ রানে গুঁড়িয়ে  দেন সাকিব। ফলে ১৬২ রানের জয় পায় টাইগাররা। সেই সাথে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে  সিরিজ জয়ও নিশ্চিত হয়।

chardike-ad

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে জিম্বুবায়েকে ৩১৪ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

৩১৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ১৩ রানে ২ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। বিরতির পর জিম্বাবুয়ে শিবিরে আবারো আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলরকে। এরপর জুবায়েরের বলে সাজঘরে ফেরেন চাকাবা। চা বিরতির আগ মুহূর্তে জুবায়ের হোসেনের বল এগিয়ে মারতে এসে স্টাম্পিংয়ের শিকান হন ক্রেইগ আরভিন (২১)।

চা বিরতির পর অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হ্যামিলটন মাসাকাজদাকে সাজঘরে ফেরান সাবিক আল হাসান। এরপর তাইজুলের বলে বোল্ড আউট হয়ে যান ওয়ালার। চিগম্বুরাকে নিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত করেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দলীয় ১৪২ রানে সাকিবের পঞ্চম শিকারে পরিণত হন নাতসাই এম’শাঙওয়ে। জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেটটি তুলে নেন তাইজুল। তার স্পিন ভেল্কিতে এলবিডব্লিউ হন চাতারা। ফলে জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

টেস্টে দুই সেশনে তিন শতাধিক রান তুলে জয়ের রেকর্ড জিম্বাবুয়ের ছিল না। তবে চতুর্থ ইনিংসে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ রান ৩৩১। ২০১১ সালে বুলাওয়েতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ৩৩১ রান করে জিম্বাবুয়ে। তাও আবার চতুর্থ দিনের শেষ সেশন ও পঞ্চম দিন ব্যাট করে তারা। অবশ্য ৩৬৬ রানের জবাবে ৩৪ রানে হেরে যায় স্বাগতিকেরা।

এ ছাড়া হারারেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০০২ সালে ৪৩০ রানের জবাবে ৩১০ রানের বেশি করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলা শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়। দিনের প্রথম ঘন্টায় দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথমে সাজঘরে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ। পরে তাইজুল।

৬৩ রানে দিন শুরু করা মাহমুদুল্লাহ পঞ্চম দিন ৮ রান যোগ করে ৭১ রানে আউট হন। নাতসাই এমশ্যাংউইয়ের বলে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন। ১৫৮ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৭১ রানের ইনিংসটি সাজান মাহমুদুল্লাহ। এক ওভার পর আবার নাতসাই এমশ্যাংউইয়ের বলে মিউ উইকেটে ক্যাচ দেন তাইজুল ইসলাম (১)। লাফিয়ে ক্যাচটি লুফে নেন পেসার পানিয়াঙ্গারা।

ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পেসার শাহাদাত হোসেন (৩)। এমশ্যাংউইয়ের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। মিড অনে মাসাকাদজার তালুবন্দি হন লেট অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। শাহাদাতের পর ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন শুভাগত হোম। এরপর আর ইনিংসটি বড় করতে পারেনি ময়মনসিংহের এই তারকা। এমশ্যাংউইয়ের বলে লং অনে মাসাকাদজার অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন ১০৩ বলে ৫০ রান করা শুভাগত। এরপরই ইনিংস ঘোষণা করেন মুশফিকুর রহিম। রুবেল হোসেন ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৪৩৩ রান করে। শতক হাঁকান সাকিব আল হাসান (১৩৭) ও তামিম ইকবাল (১০৯)। জবাবে জিম্বাবুয়ে ৩৬৮ রানের বেশি করতে পারেনি। হ্যামিলটন মাসাকাদজা ১৫৮ ও চাকাবা ১০১ রান করেন। ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে ৫ উইকেট নেন সাকিব।

৬৫ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ চতুর্থ দিন শেষে ২০১ রান সংগ্রহ করে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তামিম ২০, শামসুর রহমান ২৩, মুমিনুল হক ৫৪, সাকিব আল হাসান ৬ ও মুশফিকুর রাহিম শূন্য রান করেন।