বন্য হাতির তাণ্ডবে নষ্ট হয় জমির ফসল, ঘটে প্রাণহানির ঘটনা। তাই এবার হাতি ঠেকাতে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের কৃষাণগিরি জেলার কৃষকরা শরণাপন্ন হয়েছেন ‘বাঘ মামার’। তবে জ্যান্ত বাঘ নয়, প্রমাণ সাইজ খেলনা বাঘ। বন থেকে আসা হাতির দলের হাত থেকে নারকেল, আখসহ অন্য ফসল বাঁচাতে বাঘগুলোকে তারা বসিয়ে দিয়েছেন ক্ষেতের ফাঁকে ফাঁকে।
কৃষকরা বলছেন, প্রতিটি খেলনা বাঘের পেছনে ১১শ রুপি ব্যয় হলেও প্রাণহীন বাঘ মামাকে থোড়াই কেয়ার করছে স্থলের সবচেয়ে বড় প্রাণীটি। বরং বাঘের ঘাড় মটকে অর্থাৎ বাঘকে পদদলিত করেই নিজেদের পথ করে নিচ্ছে তারা।
তবে ১১শ’ রুপি একেবারে বিফলেও যায়নি। খেলনা বাঘ দেখে হাতি ভয় না পেলেও বানর কিন্তু ঠিকই ভয়ে আর জমিতে আসছে না। বানরও কম ত্যাঁদড় নয়। কৃষকদের নারকেল চুরি করতে তারা ওস্তাদ। তাই বাঘ মামার পাহারার কারণে এক হাজার নারকেল বানরের হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক শিব কুমার ।
ভারতজুড়ে বন্যহাতির সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। দেবতা ঐরাবত হিসেবে হাতি দেশটির অনেক জায়গায় পূজনীয়। তাই তাণ্ডব চালানো হাতিকে সরাসরি আঘাত করতে অনেকেরই ধর্মীয় আবেগে বাধে। হাতি বাঘকে ভয় পায়। তাই ‘দেবতা’ হাতিকে তাড়ানোর বিকল্প হিসেবে এই পথ বেছে নিয়েছেন ওই জেলার কৃষকরা।
ভারতজুড়ে বন্যহাতির সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। দেবতা ঐরাবত হিসেবে হাতি দেশটির অনেক জায়গায় পূজনীয়। তাই তাণ্ডব চালানো হাতিকে সরাসরি আঘাত করতে অনেকেরই ধর্মীয় আবেগে বাধে। হাতি বাঘকে ভয় পায়। তাই ‘দেবতা’ হাতিকে তাড়ানোর বিকল্প হিসেবে এই পথ বেছে নিয়েছেন ওই জেলার কৃষকরা।
দেশটিতে বনাঞ্চল কমে যাওয়ায় মানুষের সঙ্গে হাতির সংঘর্ষ হচ্ছে প্রায়ই। হাতি দল বেঁধে পানি পান করার উদ্দেশে নিজেদের আবাস ছেড়ে যাওয়ার সময় সাধারণত কৃষকদের ক্ষেতের ফসল নষ্ট করে বলে বন্যপ্রাণী বিষয়ক কর্মকর্তা বিনয় লুথরা জানান। সূত্র : বিবিসি