Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইবি বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

iu

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) যাত্রীবাহী একটি বাসের ধাক্কায় তৌহিদুর রহমান টিটু নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর  জের ধরে ব্যাপক তাণ্ডব ও অগ্নিসংযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উদ্ভূত পরিস্থিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

chardike-ad

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ছাত্রদের এবং সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের আবাসিক হল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. লোকমান হাকিম জানান, সকালে শিক্ষার্থীদের তাণ্ডবের পর দুপুরে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল জরুরি বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্ত নেয়।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত টিটু ইবির বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক্‌স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরে। তিনি প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে ঝিনাইদহগামী বাস শিক্ষার্থীদের নেওয়ার জন্য মূল ফটকে দাঁড় করানো ছিল। টিটু একটি বাসের পেছন গেট দিয়ে ওঠার সময় বাসটি ছেড়ে যায়। এ সময় টিটু মাটিতে পড়ে গেলে পেছনে থাকা অপর বাসটি তাকে চাপা দেয়। এতে দেহ থেকে মাথা আলাদা হয়ে ঘটনাস্থলেই টিটুর মুত্যু হয়।

এদিকে, দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ও ভাড়ায় চালিত অন্তত অর্ধশতাধিক বাস পুড়িয়ে দেন এবং কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে প্রশাসন ভবনে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

এ ছাড়া, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাংলো, কার্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়াসহ বিভিন্ন অনুষদে ও ভবনে হামলা, ভাঙচুর ‍ও অগ্নিসংযোগ চালান। শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে পাল্টা আক্রমণ করে ক্যাম্পাসের বাইরে বের করে দেন। পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। পরে কয়েক শ শিক্ষার্থী প্রশাসন ভবনে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

তবে শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে প্রক্টরিয়াল বডির দুই সদস্য উপস্থিত থাকলেও প্রক্টর ড. তালুকদার লোকমান ঘটনাস্থলে আসেননি। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে ইবির উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, ‘যা ঘটেছে তা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। এ ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। কোনোভাবেই এ ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তা ছাড়া বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’