Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পাকিস্তানের রোমাঞ্চকর জয়

afridi

ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। আর সেই খেলায় একটু বেশিই আনপ্রেডিকটেবল পাকিস্তান। তা না হলে ১২৪ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে বসা পাকিস্তান ২৫০ রান করে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারে?

chardike-ad

বাকি ১২৬ রান করতে মাত্র একটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। অন্য দল হলে কী হতো সেটা বলতে পারা মুশকিল। কিন্তু পাকিস্তানের কাছে এরকম জয় অপ্রত্যাশিত নয়, কারণ তারা আনপ্রেডিকটেবল একটি দল। তাদের কাছে এরকম ঘটনা হরহামেশাই হয়ে থাকে।

রোববার নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাইয়ে দুদেশের দিবারাত্রির প্রথম ওয়াডেতে পাকিস্তান টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায়। শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি কিউইদের। মাত্র ১১১ রানে পাঁচটি উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রাখেন চার নম্বরে ব্যাট করতে আসা রস টেলর।

তার অপরাজিত ১৩৫ বলে ১০৫ রানের ইংনিসে ভর করে ২৪৬ রানের লড়াই করার মতো একটি টার্গেট প্রতিপক্ষকে দেয় কিউইরা। লোয়ার অর্ডারে নামা ড্যানিয়েল ভেট্টরির উইলো থেকে আসে ২৭টি গুরুত্বপূর্ণ রান। এই রান করতে তিনি বল খেলেন ২৫টি।

পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ ইরফান তিনটি ও ওয়াহাব রিয়াজ দুইটি উইকেট নেন।

২৪৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই হোঁচট খায় পাকিস্তান। মাত্র ১৩ রানেই মোহাম্মদ হাফিজের উইকেট হারায় তারা। ৪০ রানে আসাদ শফিক ও আহমেদ শেহজাদের সাজ ঘরে ফেরার পর দারুণ চাপে পরে যায় পাকিস্তান। ৫২ রানে ইউনুস খান ও ৮৬ রানে মিসবাহ-উল হক বিদায় নিলে একেবারে খাদের কিনারে চলে যায় তারা। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে ধরে খেলতে থাকেন পাঁচ নম্বরে নামা ব্যাটসম্যান হারিজ সোহায়েল।

দলীয় ১২৪ রানে সারফারাজ আহমেদ বিদায় নিলে সাত নম্বরে ব্যাট করতে মাঠে নামেন বুম বুম শহীদ আফ্রিদি। সোহায়েলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। সপ্তম উইকেট জুটিতে এরা দুজন মিলে মহামূল্যবান ১১০টি রান সংগ্রহ করেন। দলীয় ২৩৪ রানের মাথায় আফ্রিদি রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেও কাজের কাজটি ততক্ষণে করে গেছেন তিনি। ৫১ বলে ৬১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন বুমবুম আফ্রিদি। ৪৯ দশমিক ৩ ওভারে পাকিস্তানকে চূড়ান্ত জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন সোহায়েল। তিনি খেলেন ১০৯ বলে ৮৫ রানের হার না মানা এক ইনিংস। ওয়াহাব রিয়াজ ৬ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। অবশেষে তিন উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ভেট্টরি ও নিসাম উভয়ে দুটি করে উইকেট লাভ করেন। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন হারিজ সোহায়েল। এর ফলে ৫ ম্যাচ ওয়াডে সিরিজে পাকিস্তান ১-০ তে এগিয়ে গেল।

তথ্যসূত্র : ক্রিকইনফো।