Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাল্য বিয়ে করতে গিয়ে দণ্ড পেল পুলিশ

policeনীলফামারীর সদর উপজেলায় বাল্য বিয়ে করতে গিয়ে দণ্ড পেল এক পুলিশ সদস্য। বর পুলিশ সদস্যের নাম অনন্ত কুমার রায়। তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া বিয়ের আসরে কনে ও বরের বাবাকে পাঁচ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

chardike-ad

ভ্রাম্যমান আদালতের পেশকার আমিনুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নীলফামারীর সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের দক্ষিণ চওড়া গ্রামের প্রিয় নাথ রায়ের নাবালিকা মেয়ে ও পলাশবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী কনিকা রানী রায়ের (১৪) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের দাড়িহারা গ্রামের তরণী কান্ত রায়ের ছেলে ও পুলিশ সদস্য অনন্ত কুমার রায় (২৫) এর বিয়ের আয়োজন করা হয়।

জানা যায়, নীলফামারী সদর থানা পুলিশ ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলীকে মুঠোফোনে এলাকায় বাল্য বিবাহ হচ্ছে এমন সংবাদ জানায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে নীলফামারীর সদর থানার উপ-পরির্দশক তপন কুমার রায়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। কনের স্বীকারোক্তিতে তার বাবা প্রিয় রায় ও বরের বাবা তরণী রায় এবং বর অনন্ত রায়কে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়।

আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী কনে ও বরের বাবাকে পাঁচ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং বর অনন্ত রায়কে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের শুক্রবার সকালে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।