Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যেসব প্রযুক্তির মৃত্যু ঘটলো

tech-productপ্রযুক্তির উন্নয়ন এতো দ্রুতগতিতে ঘটছে যে কোনো ডিভাইস বা অনলাইন সেবা বড়জোর বছরখানেক টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে এমন অনেকগুলো প্রযুক্তিপণ্য ও পরিসেবা চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু  আবার নতুন নামেও বাজারে এসেছে।

১. আইপড ক্লাসিক (২০০১-১৪)
মোবাইল ফোন বিপ্লবের আগে আইপড দুনিয়া দাপিয়ে বেড়িয়েছে। ২০১৪ সালে অ্যাপল এই গ্যাজেটটি বন্ধ ঘোষণার পর সারা বিশ্বে নতুন করে আইপড কেনার ধুম পড়ে যায়। এটা অবশ্য ব্যবহারের জন্য নয় বরং স্মৃতি হিসেবে সংগ্রহ রাখার জন্য।

chardike-ad

২. মাইক্রোসফট ক্লিপআর্ট লাইব্রেরি (১৯৯৬-১৪)
মাইক্রোসফট অফিস ব্যবহার করতে গিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লে আর কিছু করার নেই। সেটা এখন শুধুই অতীত। ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝিতে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ক্লিপআর্টি লাইব্রেরি যুক্ত করা হয়। খুবই সাধারণ কিছু গ্রাফিক ডিজাইন তখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। চলতি বছরের শুরুর দিকেই মাইক্রোসফট office.com এ ক্লিপআর্ট লাইব্রেরির মৃত্যু ঘোষণা করে। এর বদলে এখন পাওয়ারপয়েন্ট ও এক্সেলে বিং ইমেজ সার্চ ফাংশন যুক্ত করে দিয়েছে।

৩. উইন্ডোজ এক্সপি (২০০১-১৪)
এখনো হয়ত অনেকে উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছেন। কিন্তু জেনে রাখনু, এটা এখন মৃত। মাইক্রোসফট কিন্তু এ সংস্করণের কোনো দায় নেবে না। ১৩ বছরের পুরনো এই অপারেটিং সিস্টেম এযাবৎকালের সবচেয়ে জনপ্রিয়। গত এপ্রিলেই এ সংস্করণে সব ধরনের সমর্থন বন্ধ করে দিয়েছে মাইক্রোসফট।

৪. কলিং মুভিফোন (১৯৮৯-১৪)
সমসাময়িক চলচ্চিত্রের তালিকা ও বর্ণনা সম্বলিত স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন পরিসেবা মুভিফোন। মার্কিন কোম্পানিটি তাদের আইকনিক 777-FILM নম্বরটি বন্ধ ঘোষণা করেছে গত ফেব্রুয়ারিতে। তারপর কেউ এই সেবা পেতে চাইলে তাদের জন্য আছে Moviefone mobile app।

৫. অ্যারিও(Aereo) (২০১২-১৪)
ইন্টারনেট স্ট্রিমিং সার্ভিস অ্যারিও দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর গত জুনে পরাজিত হয়ে নিজের মৃত্যু ঘোষণা করে। মার্কিন সুপ্রিমকোর্ট এটি নিষিদ্ধ করে রায় দেয়।

৬. পিএসপি (২০০৪-১৪)
মোবাইলে ভিডিওগেম খেলার প্রযুক্তি আসার আগে এই পোর্টেবল প্লেস্টেশনই ছিল ভরসা। কিন্তু স্মার্টফোনের দৌরাত্ম্যে এই ক্লাসিক ডিভাইস পেরে উঠলো না।

৭. ট্রুক্রিপ্ট TrueCrypt (২০০৪-১৪)
এডওয়ার্ড স্নোডেন নাকি এই এনক্রিপশন প্রযুক্তিটিই ব্যবহার করতেন। সম্ভবত একারণেই গত মে মাসে হঠাৎ করেই এটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এটি কে তৈরি করেছিলেন তাও জানা যায় না। আর বন্ধ করার কোনো কারণও জানা যায়নি।

৮. এমএসএন মেসেঞ্জার বা উইন্ডোজ লাইভ মেসেঞ্জার (১৯৯৯-২০১৪)
এর যাত্রা শুরু হয় AOL Instant Messenger (AIM) নামে। এরপর এমএসএন মেসেঞ্জার এবং পরে উইন্ডোজ লাইভ মেসেঞ্জার নাম ধারণ করে। ইন্টারনেট চ্যাটে বিপ্লব ঘটিয়ে দেয় এই পরিসেবা। তবে গত মার্চে এর স্থলে স্কাইপেকে বসিয়ে দেয় মাইক্রোসফট।

৯. সনি ভাইও Sony VAIO (১৯৯৬-২০১৪)
গত ফেব্রুয়ারিতেই সনি ঘোষণা দেয় তারা ল্যাপটপ/ডেস্কটপ বানানোর চেয়ে এখন ট্যাবলেট বানানোর দিকেই নজর দিতে চায়। এদের ভাইও সিরিজের ল্যাপটপগুলো বেশ আভিজাত্যপূর্ণ ছিল। আর দামও হাতের নাগালে। তবে জাপানের মার্কেটে এখনো পাওয়া যাচ্ছে।

১০. ফেসবুক গিফটস (২০১২-১৪)
ফেসবুকে গিফট কেনা ও প্রিয়জনকে পাঠানোর একটি সেবা এটি। কিন্তু এই সেবা চালুর দুই বছরেরও কম সময় পর বন্ধ করে দিল ফেসবুক।

১১. নোকিয়া ফোন (১৯৮৪-২০১৪)
মাইক্রোসফট গত বছর ৭.২ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়ার পর নোকিয়া বন্ধ হয়ে যায়। মাইক্রোসফট অক্টোবরে ঘোষণা দেয়, তারা নোকিয়া নাম বাদ দিয়ে নতুন নাম নিয়ে বাজারে আসবে। এখন নোকিয়ার ফোন বাজারে চলছে মাইক্রোসফট লুমিয়া নামে।

১২. প্লাজমা এইচডি টিভি (১৯৯৯-২০১৪)
অসাধারণ ভিডিও কোয়ালিটি নিয়ে বাজারে এসেছিল প্লাজমা এইচডিটিভি। এলজি এই প্রযুক্তির অন্যতম সহযোগী। তবে ২০১৩ সালে প্যানাসোনিক এই টিভির উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। আর এলজি এর সঙ্গ ছেড়েছে চলতি বছরে। এটি এখন স্যামসাংয়ের ঘরে। তবে এই প্রযুক্তি স্যামসাং একাই বয়ে নিতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। অনেকের ধারণা বড়জোর ২০১৫ সাল পর্যন্ত স্যামসাং এটি বাজারজাত করতে পারবে।