Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উত্তর কোরিয়া নয়, সনির কর্মীই করেছে সাইবার হামলা!

সাইবার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জাপানের ইলেকট্রনিক কোম্পানি সনির বিরুদ্ধে সাইবার হামলা চালিয়েছে ওই কোম্পানির সঙ্গে জড়িত কেউ। এ ঘটনায় উত্তর কোরিয়া জড়িত বলে মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা এফবিআই দাবি করার পরও এ কথা জানালেন তারা।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের কাল্পনিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে তৈরি বিতর্কিত সিনেমা ‘দ্য ইন্টারভিউ’ ঘিরে এ সাইবার হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

chardike-ad

এদিকে, নর্স সাইবার সিক্যুরিটি ফার্ম-এর সাইবার বিশেষজ্ঞ কুর্ট স্ট্যাম্মবার্গার মার্কিন চ্যানেল সিবিএসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “নিরাপত্তা তৎপরতায় জড়িত তার টিম মনে করে, উত্তর কোরিয়া নয় বরং ‘লেনা’ নামে পরিচিত এক নারী সনির সাইবার হামলার সঙ্গে জড়িত।”

তিনি আরো বলেন, “তারা দৃঢ়ভাবে মনে করে, উত্তর কোরিয়া এ হামলার পরিকল্পনা করে নি। বরং সনির সঙ্গে জড়িত কেউ ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক সাইবার হামলাটি চালিয়েছে।”

কুর্ট স্ট্যাম্মবার্গার বলেন, “সনিতে সাইবার হামলা করা হয় নি বা হ্যাক করা হয় নি বরং এ কোম্পানিকে ভেতর থেকেই হামলা করা হয়েছে।”

অবশ্য ‘লেনা’ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় নি। ‘গার্ডিয়ান অব পিস’ নামের একটি হ্যাকিং গোষ্ঠীর সঙ্গে ‘লেনা’ যোগসাজশ থাকতে পারে বলে ধারণা করেন নর্স। ‘লেনা’ হয়ত সনির সাবেক কর্মী এবং ২০১৪ সালের মে মাসে চাকরিত্যাগের আগে তিনি হয়ত ১০ বছর এ কোম্পানিতে কাজ করেছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সার্ভারগুলো চিহ্নিত করার বিষয়টি হয়ত চাকরি সূত্রেই জানতে পেরেছেন ‘লেনা।’ আর এ সব সার্ভার থেকেই সনির তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকররা।

এদিকে, সাইবার বিশেষজ্ঞ ব্রুস শিনার মনে করেন, হ্যাকরারা যে কোড ব্যবহার করেছে তার ভিত্তিতে একসঙ্গে সবাইকেই সন্দেহ করা যায়। এফবিআইএ যে সব আলামত তুলে ধরেছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো জালিয়াতি করা সহজ এবং ভুল ব্যাখ্যা করা আরো সহজ। অবশ্য সনির ভেতরের কেউ এ হামলায় জড়িত বলে যে কথা বলা হচ্ছে, সে বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু উত্তর কোরিয়া এ হামলায় জড়িত থাকার যে দাবি এফবিআই করেছে, তার বিপরীতে সব তথ্য প্রকাশ করা হয় নি বলেও জানান তিনি।

অবশ্য উত্তর কোরিয়া এ সাইবার হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে এবং এ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে যৌথ তদন্তের প্রস্তাবও দিয়েছে।–ওয়েবসাইট।