বিশ শতকের অন্যতম ধনী ব্যক্তি তিনি। এক নামেই সবাই চেনে তাকে, ওয়ারেন বাফেট। মার্কিন ব্যবসায়ী। বার্কশেয়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন এক দিনে পৃথিবীখ্যাত হননি। ১৯৩০ সালে মার্কিন কংগ্রেসম্যান হাওয়ার্ড বাফেটের ঘরে জন্ম হয় ওয়ারেনের। বাবা রাজনীতিবিদ কংগ্রেসম্যান, ছেলেকে কি আর কিছু করতে হয় নাকি? সেই প্রচলিত ধারাকে ভেঙে দিয়ে ব্যবসায়ী হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেন ছোটবেলা থেকে।
ছোটবেলা থেকেই শেয়ারবাজারে আগ্রহ ছিল তার। বৃক্ষের যে ফলে পরিচয়, তারও প্রমাণ মেলে মাত্র ১১ বছর বয়সে। এ বয়সেই শেয়ার ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন ওয়ারেন। আবার স্কুলে থাকতেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে চুইংগাম, কোকাকোলা বিক্রি শুরু করেন তিনি। দাদার মুদি দোকানেও অনেক দিন কাজ করেছেন ওয়ারেন। ব্যবসায়ে প্রশাসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ১৯৫১ সালে কর্মজীবনে প্রবেশ, আর ১৯৭০ সালে বার্কশেয়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী নিযুক্ত হন। ১৯৬২ সালে প্রথমবারের মতো মিলিওনিয়ারের তকমা জোটে তার কাঁধে। সেই শুরু তার। বর্তমানে তার ব্যবসায়িক প্রজ্ঞার কথা তুলনা করে তাকে বলা হয় উইজার্ড অব ওমাহা, ওরাকেল অব ওমাহা, আবার কখনও ডাকা হয় সেইজ অব ওমাহা।
২০১২ সালের ‘টাইম ম্যাগাজিন’ অনুসারে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৮ সালে বিল গেটসকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে স্থান পান। মানুষ হিসেবে তিনি এতটাই সৎ, তার প্রতিষ্ঠানের সব কর্মচারীর কাছে প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত জীবনের সত্য কাহিনী তুলে ধরেন। তার মতে, ‘সততা খুব দামি উপহার, তা কখনও সস্তা লোকের কাছ থেকে পাবেন না।’ বাফেটের অভিমত, ‘উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য মূল চাবিকাঠি হলো সততা ও মিতব্যয়িতা।’ আলোকিত বাংলাদেশ।