Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় শেষ হলো ইজতেমার প্রথম পর্ব

ijtema
রোববার বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয় লাখো মুসল্লি

আখেরি মোনাজাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনার মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। মোনাজাত বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে শুরু হয়ে তা শেষ হয় ১১টা ৪৮ মিনিটে।

মহান আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি সারা দুনিয়ার মানুষের জন্য রহমত ও শান্তি কামনা করেছেন লাখো মুসল্লি।

chardike-ad

রোববার টঙ্গীর তুরাগ তীরে মোনাজাতে অংশ নিতে ঢল নামে লাখো মুসল্লির। এরই মাঝে বিনম্র সুরে আল্লাহর কাছে আকুতি জানিয়ে মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা সা’দ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ মোনাজাতে অংশ নেন।

মাওলানার সঙ্গে লাখো মুসল্লি দুই হাত তুলে ‘আমিন’, ‘আমিন’ ধ্বনি তোলেন। বিশ্ব ইজতেমার ময়দান ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাগানো মাইকে সেই ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে তুরাগ নদের চারপাশের এলাকায়।

ইজতেমার ৩ দিনের বয়ান শুনতে মুসল্লিদের বেশির ভাগ প্রথম দিনই তুরাগতীরে সমবেত হন। আবার মোনাজাতে অংশ নিতে ভোররাত থেকে হেঁটে ইজতেমাস্থলে পৌঁছান অনেক মুসল্লি। সকাল ৮টার আগেই ইজতেমার মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মুসল্লিরা মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলিগলিতে অবস্থান নেন।

ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে অনেক মুসল্লি আবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়কে অবস্থান নেন। মোনাজাতের সময় তারা পুরোনো খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে বসে পড়েন। পার্শ্ববর্তী ৩-৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাসাবাড়ি, কলকারখানা, অফিস, দোকান ও যানবাহনের ছাদ এবং তুরাগ নদে অনেক নৌকায় অবস্থান নেন মুসল্লিরা।

নানা বয়সী ও পেশার মানুষ, এমনকি নারীরাও ভিড় ঠেলে মোনাজাতে অংশ নিতে সকালেই টঙ্গী এলাকায় পৌঁছান। মোনাজাত শেষে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্য রওনা দেন মুসল্লিরা।

এদিকে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ বিভিন্ন অফিসে আজ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঢাকার রমনা উদ্যানসংলগ্ন কাকরাইল মসজিদে ১৯৪৬ সালে প্রথম ইজতেমার আয়োজন করা হয়। মুসল্লির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৪৮ সালে ইজতেমার স্থান পরিবর্তন করে বর্তমান হাজি ক্যাম্পের স্থলে নেওয়া হয়। ১৯৫৮ সালে ইজতেমা হয় সিদ্ধিরগঞ্জে। মুসল্লি আরও বাড়তে থাকায় সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর তুরাগতীরের মাঠে ইজতেমার স্থান নির্ধারণ করা হয়। সেই মাঠেও স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।