Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

খালেদার বিচার হবে, সংলাপ নয়: হাসিনা

hasina parlamentহরতাল-অবরোধে নাশকতায় প্রাণহানির জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দায়ী করে তার বিচারের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “কোনো জাতীয় ইস্যু নয়, ব্যক্তিগত কারণে উনি (খালেদা)  খুন করে যাচ্ছেন। খুনির বিচার যা হওয়া উচিত, সেই বিচার হবে।”

একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের সংলাপের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, খুনিদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়।

chardike-ad

মঙ্গলবার দশম সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তার বক্তব্যের আগে সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা নাশকতার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসনের বিচারের দাবি তোলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “খালেদা জিয়া যা করছে, তা আন্দোলন নয়, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, জঙ্গি কার্যকলাপ। বাংলাদেশে কোনো জঙ্গির স্থান হবে না। জঙ্গি উৎখাত করব। আমরা ধৈর্য ধরে সহনশীলতার সঙ্গে এগুচ্ছি। জনগণের নিরাপত্তা দিতে যা যা করতে হয়, করব।”

গণতন্ত্র ‘রক্ষার’ জন্য আন্দোলনের কথা বলে বিএনপির নেত্রী জনগণকে ‘হত্যা’ করছেন্- এমন মন্তব্য করে সংসদ নেতা বলেন,“উনি (খালেদা) মানুষের ওপর জুলুম করছেন। কোনো জুলুম বরদাশত করা যাবে না।”

নাশকতাকারীদের প্রতিরোধে জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা মানুষ হত্যা করবে- প্রত্যেক পাড়ায় মহল্লায় সন্ত্রাস-জঙ্গিবিরোধী কমিটি করে শান্তি-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করে রুখে দাঁড়ান। যারা জড়িত, ধরিয়ে দিবেন।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে জঙ্গিদের জায়গা করে দিতে পারি না। যেখানে মুসলমান সেখানে কেউ কেউ গোলমাল পাকাচ্ছে। বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান, এখানে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে আছে। সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছে। যে যার ধর্ম পালন করছে। এটা অনেকের পছন্দ নয়। অন্তত আমি বেঁচে থাকতে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী দেশ হতে দেব না। তাতে যা-ই আসুক না কেন।”

এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, “৫ জানুয়ারি নির্বাচন বন্ধে যে নৈরাজ্য করেছে, সে সময় ব্যবস্থা নিলে আজ এ অবস্থা হতো না। এখনো সময় রয়েছে। অবিলম্বে বিএনপিকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করা হোক। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে রাষ্ট্রদ্রোহ, মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার করা হোক।”

সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু বলেন, “তার জন্য ১৬ কোটি মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩০টি মানুষ মারা গেছে। ৩০টি খুনের মামলা হবে। প্রতি মামলার খুনের আসামি হবে খালেদা জিয়া। এ মামলা যদি করতে না পারেন, তা হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা।”

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, “প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে বিএনপি-জামাতের শীর্ষনেতা বেগম খালেদা জিয়াসহ সবাইকে অভিযুক্ত করতে হবে।”

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, “খালেদা জিয়ার আন্দোলন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এক সময় পাকিস্তানের ইয়াহিয়া খান খুন করেছিল ৩০ লক্ষ শহীদকে, আজকেও বেগম খালেদা জিয়া খুনের নির্দেশ দিয়ে খুনির খাতায় নাম লিখিয়েছেন।”
তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, “উনি খুনি। উনি মানুষ নামের কলঙ্ক। কোনো অবস্থায় এ খুনির সঙ্গে আলোচনা হবে না, সমঝোতা হবে না।”